গণস্বাস্থ্যের অ্যান্টিবডি টেস্টিং কিট করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর শরীরে অ্যান্টিবডি উৎপন্ন হয়েছে কিনা তা শনাক্তের জন্য তৈরি করা হয়েছে। অ্যান্টিবডি সাধারণত উপসর্গ দেখা দেওয়ার ৬/৭ দিন পর থেকে দেখা দিতে শুরু করে।
অ্যান্টিবডি টেস্টে সাধারণত ৪টি অবস্থায় ফলাফল আসে। দুটি হলো উপসর্গহীন ও উপসর্গসহ পজিটিভ। আর বাকি দুটি হলো উপসর্গহীন ও উপসর্গসহ নেগেটিভ।জিআর র্যাপিড ডট ব্লট কিট প্রকল্পের অন্যতম বিজ্ঞানী এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নিহাদ আদনান বিডিটাইপকে অ্যান্টিবডি কিটের ৪টি ফলাফল নিশ্চিত করেন। তার দেওয়া তথ্য নিম্নে তুলে ধরা হলো-
উপসর্গহীন পজিটিভ
উপসর্গহীন কোনো ব্যক্তির যদি অ্যান্টিবডি পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে, তাহলে তার অর্থ হলো গত কয়েকদিনের ভেতরই তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং তার শরীরে করোনা প্রতিরোধী ক্ষমতা তৈরি শুরু হয়েছে।
উপসর্গযুক্ত পজিটিভ
উপসর্গযুক্ত কোনো ব্যক্তির যদি অ্যান্টিবডি টেস্টের ফল পজিটিভ আসে, তাহলে তার অর্থ হবে অতি সম্প্রতি তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং তার শরীরে করোনা প্রতিরোধী ক্ষমতা তৈরি শুরু হয়েছে।
উপসর্গযুক্ত নেগেটিভ
উপসর্গযুক্ত কোনো ব্যক্তির অ্যান্টিবডি টেস্টে নেগেটিভ আসার অর্থ হলো, ওই ব্যক্তি হয়তোবা অতি সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তার শরীরে এখনো অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি। তার দ্রুত করোনার এন্টিজেন টেস্ট বা পিসিআর টেস্ট করে দেখতে হবে যে শরীরে করোনা আক্রমণ করেছে কিনা।
সেই টেস্টে পজিটিভ এলে তিনি এক সপ্তাহ পরে আবার অ্যান্টিবডি টেস্ট করাবেন। তখন তিনি দেখবেন, তার দেহে অ্যান্টিবডি উৎপাদনের মাধ্যমে করোনা প্রতিরোধী ক্ষমতা তৈরি হয়েছে কি-না।
উপসর্গহীন নেগেটিভ
উপসর্গ না থাকা কারও টেস্টের ফল নেগেটিভ আসার অর্থ হলো, তিনি আগে আক্রান্ত হননি। তবে ভবিষ্যতে আক্রান্ত হওয়ার সুযোগ রয়ে গেছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন