গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়া গৃহবধূর সাতদিন পর মৃত্যু

গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়া গৃহবধূর সাতদিন পর মৃত্যু

গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়া গৃহবধূ শারমিন মৃত্যুবরণ করেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। এ ঘটনায় আজ শুক্রবার বিকেলে মামলা হলে; একজনকে আটক করে থানা পুলিশ।

ঘটনার শিকার শারমিন (২২),কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার করিমপুর গ্রামের ড্রাইভার ইকবাল হোসেনের স্ত্রী। এ ঘটনায় তিনজনকে আসামী করে থানায় মামলা দিয়েছে নিহতের ভাই শাহেদ। পুলিশ একজনকে আটক করেছে।

পরিবার ও থানার সূত্রে জানা যায়, চার বছর আগে হিরাকান্দা গ্রামের রোস্তম মিয়ার মেয়ে শারমিন আক্তারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় একই ইউনিয়নের করিমপুর গ্রামের ইসমাঈল হোসের ছেলে ইকবাল হোসেন। তাদের সংসারে তিন বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।  গত বুধবার দুপুরে (ঈদের আগের দিন) শারমিনের স্বামী ইকবাল তাকে সতেরো’শ টাকা দেয় ঈদের কেনাকাটার জন্য। শারমিন আরো টাকা বাড়িয়ে দিতে বললে ইকবাল অপারগতা প্রকাশ করে।

এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে টাকা ছুঁড়ে ফেলে দেয় শারমিন। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ইকবাল তাকে চড়-থাপ্পড় দেয়। পরে ইকবাল চলে গেলে শারমিন ঘরের ভিতর থেকে দরজা আটকে দিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। তার আত্মচিৎকার শুনে  প্রতিবেশী গৌতমের ছেলে পিন্টু (২৪) এগিয়ে এসে ঘরের দরজা ভেঙ্গে শারমিনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মানিক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে প্রেরণ করেন। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার রাতে মৃত্যুবরণ করে সে। ফলে শুক্রবার দুপুরে শারমিনের ভাই শাহেদ বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় তিনজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। আসামীরা হলেন,নিহতের স্বামী ইকবাল হোসেন (২৬),শ্বশুর ইসমাঈল হোসেন (৫৫) এবং শ্বাশুরী নাসিমা আক্তার (৪৬)।

মামলার বাদী শারমিন আক্তারের ভাই শাহেদ জানায়,আমার বোন শারমিনকে তার শ্বশুরবাড়ীর লোকজন ঈদের কেনাকাটাকে কেন্দ্র করে মানসিকভাবে নির্যাতন করে। তাই সে ক্ষোভে গায়ে আগুন দিয়েছে।

মুরাদনগর থানার ওসি সাদেকুর রহমান বলেন, প্রাথমিক ভাবে প্রতিয়মান যে, স্বামীর সাথে ঝগড়া শেষে অভিমান করে গায়ে কেরসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় গৃহবধূ শারমিন। তবে ঘটনাটি অধিকতর তদন্ত করছি। তিনজনের নাম উল্লেখ করে নিহতের ভাই শাহেদ অভিযোগ দায়ের করেছে। একজনকে আটক করেছি।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password