কাদের মির্জার 'নেতৃত্বে' হোটেলে ভাংচুর

কাদের মির্জার 'নেতৃত্বে' হোটেলে ভাংচুর

সেতুমন্ত্রীর ভাগিনাসহ প্রতিপক্ষের বাদল অনুসারী নেতাকর্মীদের নাস্তা খাওয়ানোর অপরাধে আজমিরী হোটেল নামে বসুরহাটের একটি খাওয়ার দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছেন মেয়র কাদের মির্জার নেতৃত্বে তার লোকজন। 

শনিবার রাত পৌনে ৯টায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় মেয়র হোটেল মালিকের ২০ হাজার টাকা জরিমানাও ঘোষণা করেন; যা আগামীকাল রোববার সকালের মধ্যে ব্যাংকে জমা দেয়ার নির্দেশ দেন।

হামলায় আহত হোটেল মালিক ও বসুরহাট ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনকে কোম্পানীগঞ্জ থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আরও ৫ জনকে বসুরহাট সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে মেয়রের ভাগিনা ফখরুল ইসলাম রাহাতের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন নাস্তা খেতে ওই হোটেলে আসেন। খবর পেয়ে একদল অনুসারী নিয়ে হোটেলের সামনে গিয়ে হরতালবিরোধী বক্তব্য দেন কাদের মির্জা।

এর কিছুক্ষণ পর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জার নেতৃত্বে হোটেলে গিয়ে তাদের দোকানের সাইনবোর্ডের বর্ধিত অংশ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন এবং নগদ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ সময় তর্কাতর্কি করায় কাদের মির্জার লোকজন হোটেলে হামলা চালিয়ে মালিকসহ কর্মচারীদের মারধর করা হয়। 

পরে পৌরসভা থেকে এক্সকেভেটর গাড়িসহ ৪০-৫০ জন লোক পাঠিয়ে হোটেলের সামনের অংশ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি। তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাংচুরের সত্যতা দেখেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, হোটেলের বর্ধিতাংশ ভেঙে ফেলতে ১০ দিন আগে বলা হয়েছিল। কিন্তু হোটেল মালিক সেই নির্দেশ না মানায় পৌরসভার পক্ষ থেকে তা ভেঙে দেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে ভাগিনা ফখরুল ইসলাম রাহাত বলেন, এ নগ্ন হামলা মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অপরাজনীতির আরেকটি উজ্জ্বল উদাহরণ। রাহাত দাবি করেন, পৌরসভার মেয়র হয়ে ব্যবসায়ীর জরিমানা করার কোনো এখতিয়ার তার নেই।

খবর পেয়ে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password