ভয়ে বিমান ছেড়ে বাসে করে ক্রাইস্টচার্চ-যাত্রা টাইগারদের

ভয়ে বিমান ছেড়ে বাসে করে ক্রাইস্টচার্চ-যাত্রা টাইগারদের
MostPlay

ক্রিকেট সিরিজ, সফর এমনই। আজ এই শহরে খেলা, কাল অন্য শহরে। ডানেডিনে প্রথম ম্যাচের পর আগামী ২৩ মার্চ দ্বিতীয় ওয়ানডে ক্রাইস্টচার্চে। আর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের দিনে ওয়েলিংটনে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে।

তাই বাংলাদেশ দলের এখনকার গন্তব্য সেই ক্রাইস্টচার্চ। সফরে যাওয়ার পরই যেখানে হয়েছিল টাইগারদের কোয়ারেন্টাইন। এরই মধ্যে ডানেডিন ছেড়ে ক্রাইস্টচার্চ চলে এসেছে জাতীয় দলের বহর। প্রথম ম্যাচে অনুজ্জ্বল পারফরম্যান্স ও করুণ পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে রাতটুকু পার করে আজ (রোববার) বিকেল নাগাদ ক্রাইস্টচার্চ পৌঁছেছে টাইগাররা।

সফরে দলের ভালো-মন্দ দেখভালের জন্য বিসিবি থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জালাল ইউনুস মুঠোফোনে সাংবাদিককে জানিয়েছেন, ‘আমরা ৫ ঘন্টার দীর্ঘ বাসযাত্রার পর আজ বিকেল ৬টার দিকে এসে ক্রাইস্টচার্চে হোটেল নভোটেলে এসে উঠেছি।’

জালাল আরও জানান, স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ডানেডিন থেকে ক্রাইস্টচার্চের পথে শুরু হয় যাত্রা। পথে মধ্যাহ্ন ভোজ ও কফি পানের দু’দফা বিরতির পর স্থানীয় সময় বিকেল (সূর্য অস্ত যায় ৮টার পর) ৬টার দিকে ক্রাইস্টচার্চে হোটেলে এসে উঠেছি।’

আগের দিন খেলার পর রাতটুকু পার করে আজ সকাল সকাল ৫ ঘন্টা বিমান যাত্রার ধকল কি একটু বেশিই নয়? এতে করে কি ক্রিকেটারদের ক্লান্তি ও অবসাদগ্রস্ত হবার সম্ভাবনা বেশি থাকবে না?

এমন প্রশ্নে টিম বাংলাদেশের লিডার জালাল ইউনুসের উত্তর, ‘আমরা অনায়াসে বিমানেই আসতে পারতাম। বিমানে এক থেকে সোয়া ঘন্টার ফ্লাইট। কিন্তু ক্রিকেটারদের কথা ভেবেই বাসে আসা।’জালাল যোগ করেন, ক্রিকেটারদের বেশ কয়েকজনের বিমানে ‘বাম্পিং’য়ে সমস্যা হয়। কেউ কেউ ভীত-সন্তস্ত্র হয়ে পড়ে। তাই বিমান ভ্রমণ এড়ানো হয়েছে।’

নিউজিল্যান্ডের বেশ কয়েকটি শহরে বিশেষ করে ক্রাইস্টচার্চে ওঠা-নামার সময় বিমানে প্রচুর বাম্পিং হয়। বিমান ভ্রমণের একটা বড় অংশ সমুদ্রের ওপর দিয়ে। অবতরনের সময়ও সমুদ্র কাছেই। তাই বাতাসের গতিবেগ অনেক বেশি থাকে। যারা নিয়মিত এমন ভ্রমণে অভ্যস্ত নন, তাদের জন্য পুরো ব্যাপারটাই ভয় জাগানিয়া।

সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাই যেমন বারবার নিউজিল্যান্ডের বিমান এড়িয়ে চলার অতীত ইতিহাস আছে। এমনও নজির আছে, পুরো দল বিমানে ভ্রমণ করলেও নিউজিল্যান্ড সফরে অধিনায়ক মাশরাফি হয় প্রাইভেট গাড়িতে, না হয় বাসে ভ্রমন করতেন।

২০১৬-২০১৭ মৌসুমে নিউজিল্যান্ড সফরেও মাশরাফি দু’একটি শহরে প্লেনে ওঠেননি। বিমানপথ এড়িয়ে সড়ক পথে গন্তব্যে গেছেন। শুধুমাত্র ওই বিমানের বাম্পিং এড়াতে।এবার মাশরাফি নেই। কিন্তু ক্রিকেটারদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ বাম্পিংয়ে ভীত সন্তস্ত্র হয়ে পড়েন, তাই খেলার পরদিন সকালে বিমান যাত্রার বদলে সড়ক পথে ৫-৬ ঘন্টায় ক্রাইস্টচার্চ যাত্রার সিদ্ধান্ত।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password