হত্যার পর মরদেহে আগুন

হত্যার পর মরদেহে আগুন

সোমবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামে নবগঙ্গা নদীর ধারে একটি মেহগনিবাগান থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রাতে হত্যার পর মরদেহ আগুনে পুড়িয়ে বিকৃত করে তার পরিচয় নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে পুলিশ ধারণা করছে।

জানা যায়, সোমবার সকাল ৭টার দিকে এলাকাবাসী বাগানের মধ্যে মরদেহটি জ্বলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পাশেই বুড়িরবাজার ফাঁড়িতে খবর দেয়। পুলিশ, পিবিআই এবং সিআইডি এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

এলাকাবাসী জানান, সকালে স্থানীয় একজন ভ্যানচালক বাগানের মধ্যে মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে। তখন বাগানের মধ্যে ঝরেপড়া পাতার স্তূপের মধ্যে মরদেহটি জ্বলছিল। দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ ওই স্তূপ থেকে মরদেহটি সরিয়ে নিলে তখনও শরীর থেকে ধোয়া বের হচ্ছিল।

পুলিশ জানায়, মরদেহের পাশ থেকে এক জোড়া জুতা, কয়েক টুকরো খেলার তাস পাওয়া যায়। ৩০ মিটারের মধ্যে কলাবাগানের ভেতর বিভিন্ন স্থানে রক্ত পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনাস্থল থেকে ১০০ মিটার দূরে কচাতলা শ্মশানঘাটে ভেঙে ফেলা মোবাইল ফোনের কিছু অংশসহ আরও কিছু আলামত পাওয়া যায়।

এলাকাবাসী দগ্ধ লাশটি দেখে পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি। হাজিপুর ইউনিয়নের দারিয়াপুর গ্রামের এই বুড়ির বাজারের আশপাশে বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত জুয়াড়িদের আড্ডা বসত। এই জুয়া খেলার ঘটনা কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

আশপাশে কোথায়ও অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই ব্যক্তিকে হত্যার পর পরিচয় নিশ্চিহ্ন করতে মেহগনি বাগানে স্তূপ করে রাখা পাতার মধ্যে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে মনে করছেন তারা।

মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদি জানান, সদর থানা পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই এবং সিআইডির সদস্যরা ঘটনা তদন্ত করছে। পাশাপাশি পরিচয় উদ্ধার করতে ডিএনএ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password