প্রথম দুই দফার ফল নিয়ে বিজেপি চিন্তিত!

প্রথম দুই দফার ফল নিয়ে বিজেপি চিন্তিত!

পশ্চিমবঙ্গের প্রথম দুই দফার নির্বাচনের পরেই চিন্তিত হয়ে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা। শনিবার সকালে তৃণমূল ভবনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা সর্বভারতীয় তৃণমূলের সহ-সভাপতি যশবন্ত সিনহা। 

তিনি বলেন, ‘আজ সকালেই দিল্লি থেকে আমি সূত্র মারফত জানতি পেরেছি, গতকাল অনেক রাতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পার্টির সভাপতি নড্ডজির একটি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে যেসব রাজ্যে ভোট হচ্ছে, সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলায় যে ভোট হচ্ছে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এটি একটি দলীয় অভ্যন্তরীণ বৈঠক তাই সব রকম মতবিনিময় হয়েছে। বিজেপির এই তিন শীর্ষ নেতা একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যে ২ দফায় ভোট হয়েছে, তাতে তাদের পারফর্ম্যান্স হতাশাজনক হবে। তাই বাকি যে ৬ দফা ভোট রয়েছে, তাতে যে তাদের পারফরমেন্স আরও খারাপ হবে, তা তারা বুঝেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘তাদের আশার বড় জায়গা ছিল প্রথম দুই দফাই। এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, তারা যে মানসিক খেলা এখানে খেলছেন, সেই মানসিক খেলাকে আরও জোরালো করতে হবে। যত মিথ্যে সম্ভব, মিথ্যে বলার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিতে হবে।’

পরাজয় নিশ্চিত জেনেই বিজেপি মমতার প্রার্থী হওয়া নিয়ে অপপ্রচার করছে, এমন অভিযোগ এনে যশবন্ত বলেন, ‘পরিকল্পনামাফিক ৩-৪ দিন ধরে একটা গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চলছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্য কোনও জায়গা থেকে ভোটে লড়বেন। কাল রাতের বৈঠকে পার্টির সভাপতি নড্ডাজি সেই প্রচারে জোর দিতে বলেছেন এবং তিনিও বলা শুরু করেছেন, মমতার কাছের সূত্র থেকে জানতে পেরেছেন যে মমতা অন্য কোনো জায়গা থেকে ভোটে লড়বেন। মনোনয়ন দাখিল করবেন। আমরাও তৈরি আগামী দিনে বিজেপির এই মিথ্যে প্রচারকে মোকাবিলা করতে। কারণ বিজেপির সেই মিথ্যে প্রচার আরও জোরালো ও তীক্ষ্ণ করা হবে। মানসিক খেলা খেলে জনতাকে বিভ্রান্ত করাই ওদের লক্ষ্য। মিথ্যে ও গুজব ছড়ানো হবে। বাংলার মানুষ যেন এই অপপ্রচার থেকে সাবধান থাকেন।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘নন্দীগ্রামে ভোট হয়ে গিয়েছে, সেখানে মমতা বিপুল ভোটে জিতবেন। তাই তার আর কোথাও দাড়ানোর সম্ভাবনা নেই। ভারতীয় ঝুট পার্টি এই গুজব ছড়াচ্ছে।’’

আসামে ইভিএম বদল প্রসঙ্গে আশঙ্কা প্রকাশ করে যশবন্ত বলেন, ‘‘আসামে কী হয়েছে, তা আমরা দেখেছি। রহস্যের কথা এই যে, যেখানে যেখানে বিজেপির মনে হচ্ছে যে তারা ভোটে হেরে যাবেন, সেখানে সেখানেই তারা ইভিএম বদলে দিচ্ছেন। যে যে নির্বাচনে বিজেপি কম ভোট পেয়েছে, সেই ইভিএমগুলি বদলে দেওয়া হবে। একটি ঘটনা আমাদের সামনে এসেছে, এমন ঘটনা আরও ঘটবে। আসামেও হবে, বাংলাতেও হবে। তাই আমরা কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি, যতক্ষণ না ইভিএম স্ট্রংরুমে বন্ধ করা হয়, ততক্ষণ সেখানে থাকতে হবে। যাতে কেউ রাস্তায় ইভিএম বদল করতে না পারে।’

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password