২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের হিজলদি গ্রামের এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় যাওয়ার সময় সে সময়ের বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তার নাম পরিচয় জানানো হয়নি।

শুক্রবার (২০ আগস্ট) রাতে এক ক্ষুদে বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ডিএমপির গণমাধ্যম ও গণসংযোগ শাখা।তবে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হবে বলেও জানানো হয়।১ ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের হিজলদি গ্রামের এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে যান।

সেখান থেকে সড়কপথে যশোরে ফেরার পথে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। ভাঙচুর করা হয় কয়েকটি গাড়ি। শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়।এমনকি বোমা বিস্ফোরনের ঘটনাও ঘটে সেদিন।১ সে সময় হত্যাচেষ্টার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্র আইনে তিনটি মামলা করা হয়।

ঘটনার ১৯ বছর পর গত ৪ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার একটি আদালত ৫০ জনকে নানা মেয়াদে সাজা প্রদান করে। এছাড়াও সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ তিনজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয় ।

১০ বছরের কারাদণ্ড পাওয়া বাকি দুজন হলেন মো. আরিফুর রহমান ওরফে রঞ্জু ও রিপন। তবে এরা দুই জনই পলাতক রয়েছেন।

পলাতক আরেক আসামি যুবদল নেতা আব্দুল কাদের বাচ্চুকে দেয়া হয়েছে নয় বছরের কারাদণ্ড। বাকি ৪৬ জন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে। সেদিন ৩৪ আসামির উপস্থিতিতে রায় দেয়া হয়। তাদেরকে সেদিনই কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বাকি ১৬ জনের মধ্যে আছেন- মো. আলাউদ্দিন, আব্দুল কাদের বাচ্চু, ইয়াছিন আলী, মফিজুল ইসলাম, মাজাহারুল ইসলাম,ইসলাম, আব্দুর রব, সঞ্জু মিয়া, আব্দুল খালেক, মাহাফুজুর রহমান। জাবিদ রায়হান লাকী, খালেদ মঞ্জুর রোমেল, নাজমুল হোসেন, কনক, রবিউল।