দেশে মহামারী আকার ধারণ করা করোনা ভাইরাসের সংক্রমন যে হারে বাড়ছে তা এখনই নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে দেশের বিরাট বড় ক্ষতি হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন বিশেষজ্ঞরা। করনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সাধারোন ছুটির বদলে কঠোর কারফিউ বা লকডাউনের দাবী জানান তারা।
বৃহস্পতিবার (৪ জুন) অনলাইনে ‘রিসার্জেন্ট বাংলাদেশ: রোডম্যাপ টু রিকভারি’ শিরোনামে এ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আলোচনায় অংশ নেন উন্নয়ন গবেষক আহসান এইচ মনসুর, এমসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবির, ডিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম খান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, সাবেক মুখ্য সচিব আব্দুল করিম ও সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানসহ আরও কয়েকজন অংশগ্রহণ করেন। এতে শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহও অংশ নেন।
ওই আলোচনায় বক্তরা এই বিষয়ে একমত হন যে, আমাদের দেশে এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণ রোধ করাটা সবচেয়ে বেশি জরুরি। তাই দেশের সকল নাগরিকের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরই অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। এজন্য ১৫-২০ দিনের একটি কড়া লকডাউনের দাবি জানান বক্তারা।
তবে আইইডিসিআর’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর মনে করেন, কারফিউ না দিয়েও পরিস্থিতি মোকাবেলা করা যায়। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে শিবচর। করোনা মহামারির শুরুর দিকে ওই জেলায় কঠোর লকডাউন দিয়ে সফলতা এসেছে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যেও প্রতি মিলিয়নে সবচেয়ে কম পরীক্ষা করছে বাংলাদেশ। তাই আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি বলেই আশঙ্কা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবধরনের গণপরিবহন চালু এবং অফিস আদালত, দোকানপাট খুলে দেয়ার কারণে সংক্রমণ কতটা বৃদ্ধি পায় সেটি বোঝা যাবে আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যেই।
মন্তব্যসমূহ (২) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন
Imtiaz Rahman Reply
4 years agojeh hare every day barse tabu bangali tik hosse na
আরবা খান Reply
4 years agoright