ওপেনার রুবেল মিয়ার নৈপুণ্যে মোহামেডানকে হারাল প্রাইম ব্যাংক

ওপেনার রুবেল মিয়ার নৈপুণ্যে মোহামেডানকে হারাল প্রাইম ব্যাংক

ওপেনার রুবেল মিয়ার ৬৫ রানের কার্যকরী ইনিংসে মোহামেডানকে ৫ উইকেটে হারাল প্রাইম ব্যাংক। তবে প্রাইম ব্যাংকের ভাগ্য সহায় ছিল এই ম্যাচে। জিততে হলে শেষ ১২ বলে ২০ রান দরকার ছিল প্রাইম ব্যাংকের। ১৯তম ওভারে মোহামেডানের পেসার আবু হায়দার রনির করা ওভারেই হয়ে গেল ১৯ রান। রনির করা ওই ওভারে প্রাইম ব্যাংক দুইটি বাউন্ডারি পেয়েছে ভাগ্যের সহায়তায়। একটি ইনসাইড এজ হয়ে আরেকটি রকিবুল হাসানের ব্যাটের উপরের অংশে লেগে কিপারের মাথার উপর দিয়ে। মোহামেডানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেল প্রাইম ব্যাংক। অন্যদিকে সুপার লিগে টানা দ্বিতীয় হারের স্বাদ পেল মোহামেডান।

মিরপুরে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে মোহামেডানকে উড়ন্ত সুচনা এনে দেন পারভেজ হোসেন ইমন। দলীয় ৫৮ রানের মাথায় আউট হওয়ার আগে মাত্র ২০ বলে করেছেন ৪৫ রান। তার ইনিংসে ছিল ২টি চার ও ৫টি ছক্কার মার। ইমন বিদায় নেয়ার পর ইরফান শুক্কর মোহামেডানের রানের চাকা সচল রাখেন। ইরফান (২৪) রান আউটের ফাঁদে পড়ে বিদায় নিলে ভেঙে পড়ে মোহামেডানের ব্যাটিং লাইনআপ। শেষদিকে অধিনায়ক শুভাগত হোমের ২৫ ও মাহমুদুল হাসানের অপরাজিত ৩২ রানের সুবাদে ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ১৫৪ রানের পূঁজি পায় মোহামেডান। প্রাইম ব্যাংকের দুই বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজ ও শরিফুল ২টি করে উইকেট নেন।

১৫৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৫ রানে আবু জায়েদ রাহীর বলে ফেরেন ওপেনার রনি তালুকদার (৯)। রনি ফিরে গেলেও উইকেটের চারপাশে শট খেলতে থাকেন রুবেল মিয়া। অধিনায়ক আনামুল হকের বিজয়ের সাথে গড়ে তোলেন ৬৪ রানের জুটি। যেখানে বিজয়ের অবদান মাত্র ১৪ রান। প্রাইম ব্যাংকের জয়ে মুল ভূমিকা এই ওপেনারের। দলীয় ৯৩ রানের সময় তিনি যখন আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান ততক্ষনে তিনি খেলে ফেলেছেন ৪০ বলে ৬৫ রানের ঝড়ো ইনিংস। রুবেল মিয়ার আউটের পর প্রাইম ব্যাংকের হয়ে বাকি কাজটা সেরেছেন অভিজ্ঞ রকিবুল হাসান। খেলেছেন ২৫ বলে অপরাজিত ৩১ রানের ইনিংস। এছাড়া মিথুন ১৭ ও নাইম হাসান অপরাজিত ১১ রান করেন। মোহামেডানের আসিফ, আবু জায়েদ ও শুভাগত হোম ১টি করে উইকেট শিকার করেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password