একদিনে কেজিতে কমল ৪০ টাকা পোল্ট্রির দাম

একদিনে কেজিতে কমল ৪০ টাকা পোল্ট্রির দাম

ঈদের আগে অস্বাভাবিক দাম বাড়া পোল্ট্রি মুরগির দাম ঈদের পরদিন কেজিতে ৪০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। ঈদের আগের দিন ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া পোল্ট্রি এখন রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের পর পোল্ট্রির চাহিদা কমেছে। যে কারণে লোকসানের থেকে বাঁচতে কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে। কারণ পোল্ট্রি মুরগি বেশি দিন রাখা যায় না।

এর আগে করোনার প্রকোপ শুরু হলে পোল্ট্রি মুরগির কেজি ১১০ টাকায় নেমেছিল। তবে রোজার শুরু থেকে পোল্ট্রির দাম বাড়তে থাকে। দফায় দফায় দাম বেড়ে ঈদের আগের দিন কোনো কোনো বাজারে ২০০ টাকায় পৌঁছায়।

ঈদের আগে এমন অস্বাভাবিক দাম বাড়ার বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলেছিলেন, ঈদের কারণে একদিকে পোল্ট্রি মুরগির চাহিদা বেড়েছে, অন্যদিকে সরবরাহ কমেছে। করোনার কারণে অনেক ফার্ম মালিক নতুন করে উৎপাদনে যাননি, ফলে ফার্মে মুরগি কমে গেছে। এমনকি অনেক ফার্ম বন্ধও হয়ে গেছে। এ কারণে পোল্ট্রি মুরগির দাম বেড়ে গেছে।

মঙ্গলবার (২৬ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, পোল্ট্রি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৭০ টাকা, যা ঈদের আগের দিন ছিল ১৮০-২০০ টাকা। পোল্ট্রি মুরগির দাম কমলেও লাল লেয়ার ও পাকিস্তানি কক মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লাল লেয়ার মুরগির কেজি আগের মতো ২১০-২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পাকিস্তানি কক বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৪০ টাকা।

ঈদের আগের দিন খিলগাঁওয়ে ভ্যানে ২০০ টাকা কেজিতে পোল্ট্রি মুরগি বিক্রি করা মিঠুকে আজ ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি করতে দেখা যায়। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমার মুরগি সব ঈদের আগে কেনা। কাল ঈদে গেছে, তাই আজ পোল্ট্রির চাহিদা নেই। পোল্ট্রি মুরগি বেশি দিন রাখাও যায় না। এ কারণে লোকসান থেকে বাঁচতে কেনা দামে বিক্রি করছি।

খিলগাঁওয়ে ঈদের আগের দিন ১৮০ টাকা কেজি পোল্ট্রি বিক্রি করা আজিজুর বলেন, আজ পোল্ট্রির কেজি ১৬০ টাকা। আমাদের ধারণা আগামী কয়েকদিন পোল্ট্রি খুব একটা বিক্রি হবে না। তাই আসল উঠিয়ে নেয়ার জন্য কেনা দামে বিক্রি করছি।

এ ব্যবসায়ী বলেন, কিছু দিন চাহিদা না থাকলেও ৮-১০ দিন পরে আবার পোল্ট্রির চাহিদা বাড়বে। তখন পোল্ট্রির কেজি ২০০ টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। কারণ বেশিরভাগ ফার্মে এখন পোল্ট্রি মুরগি নেই। নতুন বাচ্চা তুলে পোল্ট্রির সরবরাহ বাড়াতে কম পক্ষে এক মাস লাগবে। তার মানে এক মাস পর দাম কমবে। পোল্ট্রির দাম কমা নির্ভর করবে ফার্মের ওপর। উৎপাদন কম হলে সহসা দাম কমার সম্ভাবনা কম।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password