অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণই তাদের সরকার নির্বাচন করবে বলে আশা করে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল সোমবার রাতে ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নিড প্রাইস এ কথা বলেন। ব্রিফিংয়ে প্রশ্নোত্তর পর্বে এক সাংবাদিক বলেন, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন ভোটাধিকারের দাবিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সমাবেশে কয়েক মিলিয়ন লোকসমাগম হয়েছে।
সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে বিএনপি বাড়াবাড়ি করলে বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়াকে আবারও কারাগারে পাঠাবেন বলে সতর্ক করেছেন। ৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার বাড়িতে আছেন। সেখানে যোগাযোগের সুযোগ সীমিত। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজনৈতিক প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখতেই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন ওই সাংবাদিক। তিনি প্রশ্ন করেন, যুক্তরাষ্ট্র কি অনতিবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানাবে?
এ বিষয়ে মুখপাত্রের বক্তব্য কী? জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র সরাসরি খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে কিছু বলেননি। তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, আমরা বিশ্বজুড়ে আমাদের সম্পর্কের এবং পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে স্থান দিয়েছি। বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে সরকারগুলোর সঙ্গে আমরা নিয়মিতভাবেই এসব ইস্যু তুলে ধরি। আমি যেমন এই কক্ষ থেকে (ব্রিফিং রুম) অনেকবার বলেছি। আমরা প্রকাশ্যে এবং আড়ালে আমাদের সম্পৃক্ততার সময় এ বিষয়গুলো তুলে ধরি।
’ মার্কিন মুখপাত্র বলেন, ‘এগুলোর অংশ হিসেবে আমরা বাংলাদেশজুড়ে সব বাংলাদেশির জন্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করা, আইনের শাসন সমুন্নত রাখা এবং মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা সুরক্ষার আহ্বান জানাই। ’ মুখপাত্র নিড প্রাইস বলেন, ‘বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে আমরা নাগরিকদের ব্যাপক অংশগ্রহণ আশা করি। আমরা চাই, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণই যেন তাদের সরকার বাছাইয়ের সুযোগ পান।
এটিই আমাদের আশা এবং আমরা অব্যাহতভাবে একে সমর্থন করব। ’ তিনি আরো বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ সমবেত হওয়া ও উদ্বেগ জানানো এবং কোনো ধরনের দমন-পীড়ন ও বাধা ছাড়াই বিরোধী দলগুলোর প্রচারণার চালানোর নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান জানাই।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন