নরসিংদী চরের বগারগত গ্রামের চিরশত্রু দুই গ্রুপের টেটাযুদ্ধের অবসান, প্রশাসনের কাছে ২০০ টেটা জমা

নরসিংদী চরের বগারগত গ্রামের চিরশত্রু দুই গ্রুপের টেটাযুদ্ধের অবসান, প্রশাসনের কাছে ২০০ টেটা জমা

নরসিংদী প্রতিনিধি :  নরসিংদী সদর উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের বগারগত গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিনের দুই গ্রুপের বিরোধের মীমাংসা হয়েছে। ২৩ মে রোববার সকালে করিমপুর ইউপি:  চেয়ারম্যান মমিনুর রহমান আপেল এর ধীরতায় ও উপস্থিতিতে বগারগত গ্রামের দীর্ঘদিনের টেঁটা যুদ্ধের অবসান ঘটালো।

টেঁটা যুদ্ধের অবসান ও দুই গ্রুপের মধ্যে মীমাংসায় উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল) শাহেদ আহমেদ, নরসিংদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার দত্ত, মডেল থানার ওসি ( তদন্ত) আতাউর রহমান, করিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মমিনুর রহমান আপেল, প্যানেল চেয়াম্যান কামাল মিয়া, ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আসাবুদ্দিন ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার বাচ্চু মিয়া, ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার খোকন মিয়া, ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার সাহেব মিয়া, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান ও গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

উক্ত গ্রামে আধিপত্য বিস্তারের নেতৃত্ব দেওয়া দুই গ্রুপের নেতা বাচ্চু মিয়া ও সানাউল্লাহ মিয়া তাদের উভয়গ্রুপের সমর্থিতদের নিয়ে সহকারী পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল) শাহেদ আহমেদ ও মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ও মডেল থানার ওসি তদন্তের নিকট সংঘর্ষে ব্যবহৃত প্রায় ১৮০ থেকে ২০০ শত টেঁটা জমা দেন, উভয়ই আর টেঁটা যুদ্ধ নামক ভয়াবহ সংঘর্ষে জড়াবে না এবং গ্রামের আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন হয় এমন কোন কাজে জড়াবেনা বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট অঙ্গীকার নামা দেন। পরে উভয় পক্ষই বলেন, আজ থেকে আমরা একে অপরে মিলেমিশে থাকবো। 

ভবিষৎতে কোনরকম ঝগড়া ফাসাদে লিপ্ত হবো না। আমাদের দীর্ঘদিনের বিরোধের কারণে আমরা আজ পিছিয়ে আছি। আমরা আমাদের ভূল বুঝতে পেরে আমরা আমাদের মাঝে মীমাংসা করে নিয়েছি। আর কখনও এধরনের ভূল করবো না। 

ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বলেন বগারগত এলাকার ঝগড়া দীর্ঘদিনের। কিছু ব্যক্তি তাদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য গ্রামের নিরীহ মানুষকে পূঁজি করে তাদের কে ঝগড়াঝাটিতে লিপ্ত রাখে। পরে তা ভয়াবহ রুপ ধারণ করে হত্যা সহ লুটপাট হয়। এতে করে কি লাভ হয় এসব গ্রামবাসীর। 

আমি ধন্যবাদ জানাই দুই গ্রুপের নেতা তথা গ্রামবাীদের। তারা তাদের অতীতের কর্মকান্ড সম্পর্কে বুঝতে পেরেছে। সদর সার্কেল গ্রামবাসীদের উদ্দেশ্য বলেন, আপনারা দীর্ঘদিন এ টেঁটা যুদ্ধ করে আপনারা কি পেয়েছেন। এতে করে আপনারা আপনাদের ক্ষতি করেছেন। আপনারা হারিয়েছেন আপনজনকে, হারিয়েছেন আপনাদের কষ্টের অর্জিত সম্পদ। 

মানুষ মারার এ অস্ত্র আপনাদের কাছে লুকিয়ে রাখলে কি লাভ হবে? এটা কোন সমাধান দিতে পারে না। আপনাদের যেকোন বিপদ আপদে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আপনাদের সাথে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বদা আপনাদের পাশে রয়েছে। পরে পুরো গ্রামজুড়ে এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password