বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের তমব্রু সীমান্তের শুন্যরেখার কাছাকাছি মিয়ানমার অভ্যন্তরে সংঘটিত গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির কাছে প্রতিবাদ লিপি পাঠিয়েছে বিজিবি।
কক্সবাজারস্থ বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ জানিয়েছেন, ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তে বর্ডার পিলার ৩৫ এর বিপরীতে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বৃহস্পতিবার সাড়ে ৪টার থেকে ৫টা পর্যন্ত প্রচুর গোলাগুলি হয়েছে। এই গোলাগুলির সাথে সাথে বাংলাদেশ সীমান্তের অভ্যন্তরে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়।
এর পাশাপাশি মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর বিজিপির কাছে গোলাগুলির বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে তারা জানায়, সীমান্তের কাছাকাছি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাথে অভিযানে এই গোলাগুলি হয়। কিন্তু সীমান্তের কাছাকাছি কোন অভিযান হলে এটা প্রথমে বিজিবিকে জানানোর কথা, কিন্তু তারা অবহিত না করায় শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি প্রতিবাদ লিপি প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘গুলিবর্ষণের শুরুতে শূন্যরেখায় আশ্রিত রোহিঙ্গারা ভয়ে ছিল। পরে তারা জানতে পারে ঘটনাটি সে দেশের ভেতরে ঘটছে। এ ঘটনার পর সীমান্তে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।’
সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘গতকাল বিকালে নো-ম্যানস ল্যান্ডে গুলিবর্ষণের খবর পওয়া গেছে। তবে ঘটনাটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ঘটেছে।’
প্রসঙ্গত, গত বছর বাংলাদেশের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল মিয়ানমার সফরে যান। ওই সময় দেশটি গত ১০ আগস্ট থেকে শূন্যরেখায় ত্রাণ বন্ধের প্রস্তাব দেয় এবং বলে সেখানে অবস্থানরতদের মাঝে দেশটির মানবিক সংস্থার মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ করা হবে। বাংলাদেশ এই প্রস্তাব মেনে নিলেও শূন্যরেখায় অবস্থানরত রোহিঙ্গারা এতে আপত্তি জানায়। এর আগে বাংলাদেশের সঙ্গে এক বৈঠকে মিয়ানমার নিঃশর্তভাবে শূন্যরেখায় আটকে থাকা এই রোহিঙ্গাদের উত্তর রাখাইনে ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছিল। কিন্তু সেই উদ্যোগও কার্যকর হয়নি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন