দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আনা পেঁয়াজের বেশির ভাগই পঁচে গেছে। এতে অর্ধ কোটি টাকা ক্ষতির আশংকা করছে ব্যবসায়ীরা। এছাড়া, আটকে থাকা পেঁয়াজ জরুরিভিত্তিতে রপ্তানির অনুমতি দিতে অনুরোধ জানিয়েছে, আমদানিকারকরা। এদিকে, সাতক্ষীরার ভোমরা ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে আটকে থাকা কয়েক’শ ট্রাক পেঁয়াজের বেশিরভাগই পঁচে গেছে বলে জানিয়েছে, ব্যবসায়ীরা।
১৪ সেপ্টেম্বর কোনো আগাম ঘোষনা ছাড়াই বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত। এতে হিলিসহ বিভিন্ন জায়গায় ১০হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ ভর্তি ২৫০টি ট্রাক আটকা পরে। পাঁচ দিন পর ১১টি ট্রাকে ২৪৬মেট্রিক টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি পায় সে দেশের ব্যবসায়ীরা।
পাঁচ দিন ধরে সীমান্তের ওপারে আটকা থাকায় অতিমাত্রার গরম ও বৃষ্টিতে ভিজে বেশিরভাগ পেঁয়াজ পঁচে গেছে। প্রতি ট্রাকের ৭৫ শতাংশ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে বলে দাবি করছে, হিলির আমদানিকারকরা। ব্যবসায়ীরা জানান, পেঁয়াজ নষ্ট হওয়ায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ওপারে আটকে থাকা ট্রাকসহ নতুন এলসি’র বিপরীতে ১০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ জরুরিভিত্তিতে বাংলাদেশে রপ্তানির দাবি জানান, এই ব্যবসায়ী নেতা
এদিকে, ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে পেঁয়াজের বাজার অস্থির তা মানতে নারাজ, স্থানীয় প্রশাসন। আমদানীকারকরা জানায়, ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বন্দরে অপেক্ষায় আছে পেঁয়াজ ভর্তি দুই শতাধিক ট্রাক। ১৯ সেপ্টেম্বর ৭২১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ নিয়ে ৩১টি ট্রাক সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দরে প্রবেশ করে।
এরপর আর কোনো পেঁয়াজবাহী ট্রাক ভারত থেকে আসার অনুমতি পায়নি। এদিকে, বেনাপোল বন্দরে ঢোকার অপেক্ষায় আছে পেঁয়াজ ভর্তি প্রায় ১১২টি ট্রাক। ভারতের পেট্ট্রাপোল বন্দরে আটকে থাকা ট্রাকের বেশিরভাগ পেঁয়াজ পঁচে গেছে বলে জানান, এই নেতা। নতুন করে পেঁয়াজ বোঝাই প্রায় ১১২টি ট্রাক ভারতের বঁনগা বন্দরে অপেক্ষা করছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন