বাংলাদেশে বিদেশফেরত অধিকাংশই হোম কোয়ারেন্টিন মানছেন না। তাই শুক্রবার থেকে যাঁরা দেশে ঢুকছেন তাঁদের হাতে সিল মেরে দেওয়া হচ্ছে। তাতে লেখা থাকছে কতদিন পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এটা করার কারণ, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বাড়ির বাইরে বের হলেই যাতে মানুষ তাঁদের চিহ্নিত করতে পারেন। বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২। মোট আক্রান্ত ২৪ জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) দেশে জরুরি অবস্থা জারির সুপারিশ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে শনিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন। তবে তাদের বৈঠকের বিষয়ে কিছুই সাংবাদিকদের জানানো হয়নি। বাংলাদেশে গত ৫৫ দিনে ৬ লাখেরও বেশি মানুষ বিদেশ থেকে এসেছেন।
তাঁরা কে কোথায় আছেন, কীভাবে আছেন তা নিশ্চিত করতে পারছে না প্রশাসন। ফলে বাংলাদেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হচ্ছে। বিদেশফেরতদের জেল, জরিমানাও করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, যে দু’জন মারা গেছেন তাঁরা সত্তরোর্ধ্ব। দু’জনই বিদেশফেরত স্বজনের মাধ্যমে নোভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁরা নানা ধরনের রোগব্যাধিতে আক্রান্ত ছিলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণ ঠেকাতে শনাক্ত রোগীদের সংস্পর্শে এসেছেন, এমন সবাইকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। বিদেশফেরত সবাইকে হোমে কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই মুহূর্তে ৫০ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন। আর বিদেশফেরতদের মধ্যে প্রায় ১৪,২৬৪ জন হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। রাস্তাঘাট ফাঁকা। রাজশাহি–সহ বেশ কয়েকটি জেলার সঙ্গে রাজধানীর সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। একেবারেই প্রয়োজন ছাড়া কেউ রাস্তায় বের হচ্ছেন না।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন