মহেশখালীর কালারমারছড়ায় হচ্ছে জেলার প্রথম মডেল ইউনিয়নঃ অংশীজন বা যৌথসভা অনুষ্ঠিত

মহেশখালীর কালারমারছড়ায় হচ্ছে জেলার প্রথম মডেল ইউনিয়নঃ অংশীজন বা যৌথসভা অনুষ্ঠিত
MostPlay

কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নকে 'দুর্যোগ সহনশীল মডেল ইউনিয়ন ' হিসেব গড়ে তুলতে উদ্যোগ হাতে নিয়েছে সরকার। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে দেশের জনগণের জানমাল রক্ষার্থে টেকসই উন্নয়ন ও দুর্যোগ সহনশীল অবকাঠামো গড়ে তুলতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সারাদেশ থেকে প্রাথমিকভাবে ৫টি ইউনিয়নকে দুর্যোগ সহনশীল মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তোলার কর্মসূচি নিয়েছে।

এই প্রকল্পের জন্য কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নকে বেছে নিয়েছে সরকার। গত ২ মার্চ দুর্যোগ সহনশীল মডেল ইউনিয়ন তৈরীর নীতিগত অনুমোদন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রণালয়। কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নকে মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলতে ওয়ার্ড পর্যায়ে অংশীজন বা যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে শিক্ষক, ইমাম, সচেতন মহলসহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

শনিবার (১৬ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় উপজেলার কালারমারছড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। কালারমারছড়া ইউপি সচিব নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় ও ইউপি চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ইয়াছিন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবদুল হাই, উপজেলা ইঞ্জিনয়ার সবুজ কুমার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম।

কালামারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ জানান, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মতে, গত ২১ মার্চ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিপ্তরে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সামগ্রিক বিষয় নিয়ে মতামত গ্রহণ করে দ্রুত কাজ শুরু করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেম। এ জন্য একটি সভার আয়োজন করার নির্দেশনা পেয়েছিলাম। উক্ত সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিপ্তরের মহাপরিচালক উপস্থিত থাকার সদয় সম্মতি জানান।

তার ধারাবাহিকতায় এ যৌথসভার আয়োজন করা হয়। সভায় বক্তারা বলেন, খুব শীঘ্রই মডেল ইউনিয়নের কাজ শুরু হবে। এখানকার নাগরিক হিসেবে প্রত্যেককে এলাকার কোন কোন স্থানে কী কী কাজ করা যাবে সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেয়ার অনুরোধ জানান। ইউনিয়নের অবকাঠামোগত পরিবর্তন যেমন, রাস্তা-ঘাট, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, টেকসই বেড়িবাঁধ, সাইক্লোন সেন্টার, গাইডওয়াল, কালভার্ট, ব্রিজ, নালাসহ দরিদ্র জনগোষ্ঠীদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করা হবে। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন স্থানীয়দের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রয়োজন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password