এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বেড়েছে
করোনা সংক্রামনের মধ্যে রান্নার কাজে ব্যবহৃত (এলপিজি গ্যাসের দাম ফের বাড়ছে। বাসা-বাড়িতে ব্যবহার্য্য এ পণ্যটির দাম রোববার থেকে সিলিন্ডার প্রতি ৬০ টাকা করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশে এলপিজি বাজারজাতকারী সকল কোম্পানীগুলোর সিদ্ধান্তনুযায়ী একযোগে সারাদেশে বর্ধিত মূল্য কার্যকর হবে।তবে খুচরা বাজারে শনিবার থেকেই এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। খুচরা বিক্রেতাদের সরবরাহ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছেন বরিশালের জেলা-উপজেলা পর্যায়ের পরিবেশকরা (ডিলার)।
বরিশাল নগরীর একাধিক খুচরা বিক্রেতা বলেছেন, গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তে খুচরা বিক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী এলপিজি সিলিন্ডার দেয়া হচেছ না।
জানা গেছে, বরিশালের বাজারে কমপক্ষে ১০টি কোম্পানী এলপিজি সিলিন্ডার বাজারজাত করছে। সেগুলো হচ্ছে, যমুনা, বসুন্ধরা, ক্লীনহিট, টোটাল, অরিয়ন, পেট্রোম্যাক্স, লাফার্স, জি-গ্যাস, ডেলটা, নাভানা ইত্যাদি।
জানতে চাইলে বরিশালের এলপিজি গ্যাস কোম্পানীগুলোর একাধিক ডিলার শনিবার বিকালে বলেন, এলপিজি কোম্পানীগুলোর মালিক সংগঠন শুক্রবার ঢাকায় বৈঠক করে একযোগে দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শনিবার সকালে কোম্পানীগুলোর কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে জেলা পর্যায়ের নিজ নিজ পরিবেশকদের ফোন করে দাম বৃদ্ধির বিষয়টি অবহিত করেছে। রোববার থেকে সারাদেশে একযোগে দাম বৃদ্ধি করা হবে বলে স্থানীয় পরিবেশক জানান। তবে কয়েকজন পরিবেশক স্বীকার করেন, বরিশালে শনিবার থেকেই কয়েকজন পরিবেশক খুচরা বিক্রেতাদের বর্ধিত মূল্যে এলপিজি সিলিন্ডার সরবরাহ করেছেন।
এলপিজি কোম্পানীগুলোর পরিবেশকদের সুত্রে জানা গেছে, রোববার থেকে প্রতিটি সিলিন্ডারের পাইকারী দাম হবে কোম্পানীর প্রকারভেদে ৮৬০ থেকে ৮৮০ টাকা পর্যন্ত। খুচরা বিক্রেতারা এ দামে পরিবেশকদের কাছ থেকে কিনে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করবেন আরও ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেশী দামে। সে হিসাবে রোববার থেকে ভোক্তাকে এলপিজি সিলিন্ডার কিনতে হবে ৯২০ থেকে ৯৪০ টাকায়। পরিবেশকরা জানিয়েছেন, শনিবার পর্যন্ত এলপিজি সিল্ডিারের পাইকারী মূল্য ছিল কোম্পানী ভেদে ৭৮০ থেকে ৮১০ টাকার মধ্যে। যা খুচরা বাজারে বিক্রি হতো সর্বোচ্চ ৮৫০ টাকায়।
ওমেরা গ্যাস কোম্পানীর বরিশালের পরিবেশক মীর মাহফুজ পেট্রো গ্যাস কোম্পানীর মো. শাহিন ও নাভানা গ্যাস কোম্পানীর মো. কুদরতই খোদার সাংবাদিকদের বলেন, শনিবার সকালে তাদের নিজ নিজ কোম্পানীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তরা ফোন করে তাদেরকে রোববার থেকে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধির কথা জানিয়েছেন। তবে এর সঠিক কোন কারন কোম্পানী থেকে জানানো হয়নি। তবে তারা দাবী করেন, গত দেড় মাসে গ্যাসের দাম পর্যায়ক্রমে প্রতি সিলিন্ডারে ১০০ টাকা কমেছিল।
এ প্রসঙ্গে নগরীর গোঁড়াচাঁদ দাস রোডে খুচরা বিক্রেতা চৌধুরী ট্রেডার্সের স্বত্বাধীকারী জহিরুল ইসলাম চৌধুরী জানান, শনিবার দুপুর নাগাদ স্থানীয় পরিবেশকরা খুচরা বিক্রেতাদের জানান যে, রোববার থেকে গ্যাসের দাম বাড়বে। এরপর থেকে পরিবেশকরা সিলিন্ডার সরবরাহ না করার জন্য নানান অজুহাত দেখাতে থাকেন। এ ব্যবসায়ীও জানান, গত নভেম্বরে গ্যাসের দাম সর্বোচ্চ ১০৫০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। পরে ধাপে ধাপে কমে ৮৫০ টাকা পর্যন্ত নামে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন