নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি পাক প্রধানমন্ত্রীর

নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি পাক প্রধানমন্ত্রীর

পাকিস্তান দিবসে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য নরেন্দ্র মোদীকে 'ধন্যবাদ' জানালেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে ইমরান লেখেন, 'ভারতের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় পাকিস্তানের মানুষ। দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তিস্থাপন তখন সম্ভব যখন কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হবে। 

এই চিঠি ভারত এবং পাকিস্তান, দ্বিপাক্ষিক আলোচনার দরজা খুলে দিল, মনে করছে অভিজ্ঞমহলের একাংশ। উল্লেখ্য, এর আগে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সুসম্পর্কের সেতু তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া। তাঁর মতে, দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ক থিতু হলেই দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ায় তার ভালো প্রভাব পড়বে। সেই সঙ্গে পূর্ব ও পশ্চিম এশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগেও ইতিবাচক বাতাবরণ তৈরি হবে।

এই প্রসঙ্গে পাক সেনাপ্রধান বলেছিলেন, 'ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতের মূল বিষয় হল কাশ্মীর। শান্তিপূর্ণ ভাবে কাশ্মীর সমস্যা সমাধান না হলে উপমহাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সংশয় থেকে যাবে।' উল্লেখ্য, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় জোর দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সম্প্রতি 'ইসলামাবাদ সিকিওরিটি ডায়লগ'-এ পাক প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, 'ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করছি। তবে ভারতকেই প্রথমে এগিয়ে আসতে হবে এ ব্যাপারে।

প্রসঙ্গত, কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক বারবার তিক্ত হয়েছে। ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর দু'দেশের সম্পর্ক কার্যত তলানিতে পৌঁছয়। পুলওয়ামা হামলার পর বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক করে ভারত। সেসময়ই ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে আটক করে পাকিস্তান। টালবাহানার পর অবশ্য অভিনন্দনকে ভারতে ফেরায় ইসলামাবাদ। এই ঘটনাপ্রবাহে দু'দেশের সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়। এরপর জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ নিয়ে নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে সুর চড়ায় ইমরান খান সরকার।

এমনকী, এ নিয়ে রাষ্ট্রসংঘেও দরবার করে তারা। এটা অভ্যন্তরীণ ইস্যু বলে পালটা সরব হয় ভারত। অন্যদিকে, সন্ত্রাসবাদের আঁতুরঘর পাকিস্তান, এই দাবি সামনে রেখেই আন্তর্জাতিক মহলে সোচ্চার হয় নয়াদিল্লি। সম্প্রতি টুলকিট মামলায় পরিবেশকর্মী দিশা রবির গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খোলে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ। পাকিস্তানের শাসকদলের পক্ষ থেকে টুইটারে লেখা হয়, 'মোদী/RSS-এর আমলের ভারতে সকলের কন্ঠরোধ করা হচ্ছে...।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password