ভারতে করোনা পরিস্থীতির অবস্থা খুব খারাপ। দিন দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যূর সংখ্যা। এর মাঝে আইপিএল চালু রাখা নিয়ে অনেক আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। অনেকেই এই পরিস্থীতির মাঝে আইপিএল চালানোর বিপক্ষে। এছাড়া করোনা পরিস্থীতি বিবেচনা করে অনেক বিদেশি খেলোয়াড় ভারত ছেড়ে দেশে চলে গেছেন। গুঞ্জন আছে আরও অনেক খেলোয়াড় টুর্ণামেন্টের মাঝপথেই দেশে ফিরে যেতে চাইছেন। এছাড়া করোনায় ভারতের ভয়াবহ অবস্থা বিবেচনা করে দেশটির সঙ্গে বিমান চলাচল ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছে ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়াসহ একাধিক দেশ। এর ফলে টুর্নামেন্ট শেষে দেশে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তায় তৈরি হয়েছে খেলোয়াড়দের মনে। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ক্রিস লিন দেশে ফেরার জন্য ব্যাক্তিগত বিমানের দাবি করেছেন। সবকিছু মিলিয়ে এবারের আইপিএল শেষ হওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা।

তবে এমন সংশয়ের মাঝেও আইপিএল চালিয়ে যাওয়ার সিন্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই। ইতিমধ্যে বিসিসিআই আইপিএলের আট দলকে আশ্বস্ত করেছে, “জৈব সুরক্ষা বলয়ে আপনারা একদমই নিরাপদ”। যেসব খেলোয়াড় আইপিএল শেষ করে দেশে ফেরার চিন্তা করছেন তাদেরকেও টুর্ণামেন্ট শেষে নির্বিঘ্নে তাদের গন্তব্যে পৌছে দেয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছে বিসসিআই।

মঙ্গলবার বোর্ডের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী হেমাং আমিন প্রত্যেক দলকে ই-মেইলে আশ্বস্ত করেছেন, তারা জৈব সুরক্ষা বলয় আরও শক্তিশালী করতে যাচ্ছেন। ক্রিকইনফো ওই ই-মেইল হাতে পায়, যেখানে আমিন লিখেছেন, “ভারত যখন স্বাস্থ্যব্যবস্থায় কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে, তখন আমি আপনাদের কাছে এই লেখা লিখছি। ভারতের এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে কিছু ক্রিকেটার সরে দাঁড়িয়েছে। আমরা তাদের সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা করি এবং সমর্থন থাকবে সবসময়। একই সঙ্গে আমরা আপনাদের আশ্বস্ত করছি যে বলয়ের মধ্যে আপানারা একদম নিরাপদ”।

মঙ্গলবার সকালে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান ক্রিস লিনের মতো যারা  টুর্নামেন্ট শেষে দেশে ফেরার জন্য উদ্বেগে থাকা ক্রিকেটারদের আশ্বস্ত করেছেন আমিন, “আমরা বুঝতে পারছি আপনারা দুশ্চিন্তার মধ্যে আছেন যে টুর্নামেন্ট শেষে কীভাবে দেশে ফিরবেন। এটা স্বাভাবিক। আমরা আপনাদের কোনও দুশ্চিন্ত না করার অনুরোধ করছি। আপনারা গন্তব্যে যেন নির্বিঘ্নে পৌঁছাতে পারেন বিসিসিআই সেজন্য সবকিছু করবে। বিসিসিআই এজন্য সরকারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছে। আপনারা নিশ্চিত থাকুন যে বিসিসিআইর জন্য টুর্নামেন্ট ততক্ষণ শেষ হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত আপনাদের নিরাপদে বাড়িতে পৌঁছে দিতে না পারে”।