যশোরে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৪ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে। যশোরে ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও করোনা ভাইরাস উপসর্গ নিয়ে ১৪ জনের মৃত্যু ঘটেছে বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে করোনায় আটজন ও করোনা উপসর্গ নিয়ে ৬ জনের মৃত্যু ঘটেছে। একইসময় যশোর জেলায় ৭২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৫০ জনের।

এবং যশোর ২৫০ জেনারেল হাসপাতালে বেড়েছে করোনা ভারাসে আক্রান্ত ও উপসর্গের রোগীর চাপ এবং বেড সংকট। হাসপাতালটিতে ১৪০টি শয্যার বিপরীতে করোনা রোগী ভর্তি রয়েছেন ২০২ জন। আজ (৩ জুলাই২০২১ শনিবার) যশোর সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য কর্মকর্তা ডা. মো. রেহেনেওয়াজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় যশোর জেলার যবিপ্রবির করোনা জিনোম সেন্টারে করা ৭১৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৫০ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

এছাড়া খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪ জনের নমুনা পাঠানো হলেও সবগুলোই ফল এসেছে করোনা নেগেটিভ। এইদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় জিন এক্সপার্ট ও র‌্যাপিড অ্যান্টিজেনে কোনো করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি। শনাক্তের হার দাড়িয়েছে ৩৫ শতাংশে। ঔ সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে জেলায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে যশোর জেলায় মোট করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৬২ জনে। আর যশোর জেলায় মোট করোনা ভাইরাস মানুষের দেহে শনাক্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৩৭ জন এবং করোনা পজিটিভ থেকে মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৪৬৯ জন।

এই দিকে আরো জানা গেছে,যশোরে করোনা রোগীর ব্যপক চাপ বেড়েছে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে। যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আরিফ আহমেদ জানিয়েছে, করোনায় ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে মারা গেছে ৮ জন। এছাড়া জেলাতে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে আরোও ৬ জনের।২৫০ শয্যা হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত রেডজোনে আছে ১১৮ শয্যার বিপরীতে এখন ভর্তি রয়েছেন ১৩০ জন। আর উপসর্গ নিয়ে ইয়েলোজোনে ২২ শয্যার বিপরীতে ভর্তি আছেন ৭২ জন রোগী।

হাসপাতালের রেডজোনে ২৩টি শয্যা ইতিমধ্যে বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন। যশোরে জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মোঃ সায়েমুজ্জামান জানিয়েছেন, যশোরে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়িতে প্রশাসনের ব্যপক তৎপর রয়েছে এবং কঠোর লকডাউন চলছে। এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরাও।