নাটোরে প্রাথমিক শিক্ষক পরিবারের বাঁশের বেড়ায় পথ আটকে দেওয়ার অভিযোগ

নাটোরে প্রাথমিক শিক্ষক পরিবারের বাঁশের বেড়ায় পথ আটকে দেওয়ার অভিযোগ

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকের বাড়িতে চলাচলের পথ বাঁশের বেড়া দিয়ে আটকে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিবেশী প্রভাবশালী মজিবর রহমানের বিরুদ্ধে। ১৭ এপ্রিল থেকে ওই পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। পথ অবরুদ্ধ করা ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে থানায় কোনো অভিযোগ দিতে সাহস পাচ্ছেন না ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক পরিবার। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষকের বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের উদবাড়িয়া গ্রামে।

তিনি উপজেলার মামুদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরিরত। বাবা মকবুল হোসেনও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। শিক্ষক আবুল বাশার অভিযোগ করেন, ১৭ এপ্রিল সকালে হঠাৎ করেই বাড়ি থেকে বেড় হওয়ার পথটি বাঁশের বেড়ায় আটকে দেন প্রতিবেশী মজিবর ও তার ছেলে মুস্তা।

বেড়া টপকে বের হলে হত্যা করা হবে, এমন হুমকি দেওয়ায় তারা প্রায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। প্রতিবেশী মজিবর প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে আইনের আশ্রয়ও নিতে পারছেন না তারা। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মকবুল হোসেন বলেন, প্রায় ২৫ বছর ধরে তারা এখানে বসবাস করছেন। উদবাড়িয়া মৌজার ৬৯১ দাগের হাফ শতাংশের জমিটি বাড়ি থেকে কাঁচা সড়কে চলাচলের জন্য ব্যবহার করা হতো। জমিটি তারা রেওয়াজ বদল সূত্রে ভোগ করছিলেন।

প্রতিবেশী মজিবরকে বাড়ির দক্ষিণে এক শতাংশ জমি লিখে দিয়ে তারা হাফ শতাংশের জমিটি লিখে নেন। কিন্তু ২৫ বছর পর হঠাৎ করেই মজিবর তাদের চলাচলের পথটি আটকে দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। তারা এ অবরুদ্ধ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চান। অভিযুক্ত মজিবর রহমানকে মোবাইল ফোনে এবং সরেজমিন পাওয়া যায়নি।

মজিবর রহমানের ভাতিজা ফরিদ বলেন, জমি নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। ধারাবারিষা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মতিন মাস্টার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপসের চেষ্টা করলেও মজিবর রহমান তা মানছেন না। গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিষয়টি নিয়ে কোনো অভিযোগ তিনি পাননি। তবে খুব দ্রুত খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন তিনি।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password