ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমালোচনা করলে আইনি ব্যবস্থা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমালোচনা করলে আইনি ব্যবস্থা

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ বলেছে,  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে বিশ্বিবদ্যালয়টির খাবার এবং কোভিড-১৯ টেস্টিং কার্যক্রমকে  ‘ব্যঙ্গ বিদ্রুপ’ রূপে উপস্থাপন করেছেন। কতৃপক্ষ এতদিন এগুলো আমলে নেয়নি, তবে কোনো কোনো দায়িত্বশীল মহলও বিভিন্নভাবে সেসব যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করছেন, যা খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত। 

সম্প্রতি একটি টেলিভিশন ইন্টারভিউ'এ ভূলবসত ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলে ফেলেন,  'ভ্যাকসিন কার্যক্রমে যেন আমরা অংশগ্রহণ করি, বাংলাদেশ থেকে ভ্যাকসিন নির্মূল হবে।' তিনি করোনা নির্মূল বলতে গিয়ে ভূলবসত ভ্যাকসিন নির্মূল কথাটি বলে ফেলেন। যা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রচুর ‘ব্যঙ্গ বিদ্রুপ’ শুরু হয়ে। অনেকে বলেন চা ছপ ছমুচা খান আর ভ্যাকসিন নির্মূল করুন। 

‘ব্যঙ্গ বিদ্রুপ’টি আরো জোরালো হয় ঢাবির সাময়িক সময়ে ভ্যাকসিন কার্যক্রম বন্ধ থাকা নিয়ে।  বলা হচ্ছিলো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে সাড়া দেয়নি; কোভিড-১৯ টেস্টিং কার্যক্রম শুরু করে বেশ বিলম্বে; কিছুদিন পর আবার ল্যাব বন্ধ করে দেয়

এ সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ বলে, মে মাসের শেষ সপ্তাহে, ঈদের ছুটির সময়ে ল্যাব পরিচালনায় লোকবলের ঘাটতি পড়ে গেল; কয়েকজন শিক্ষার্থী-স্বেচ্ছাসেবক করোনা সংক্রমিত হলেন এবং RNA Contamination নিরসনে ল্যাব জীবাণুমুক্ত (disinfect) করা প্রয়োজন হলো। এ পরিপ্রেক্ষিতে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানিয়ে টেস্টিং কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত করা হয়েছিল; ল্যাব বন্ধ করে দেওয়া হয়নি। প্রায় দশদিন পর যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে, জনবল সংগ্রহ করে, পুনরায় টেস্টিং সেবাকার্যক্রম শুরু হয়; যা এখনো চলমান।

আর চা ছপ ছমুচা সম্পর্কিত ‘ব্যঙ্গ বিদ্রুপ’ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কতৃপক্ষ বলে, ২০১৯ সালে টিএসসিতে  নবাগত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেবার কালে উপাচার্য হাস্যরসে ক্যাফেটেরিয়ার সাধারণ, স্বল্পমূল্যের খাবার মেন্যু ও সবার জন্য সমান সুযোগ-সুবিধার অবারিত সেবাকার্যক্রমের কথাগুলোও বলেন। 

বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ বলে, কেউ যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সমালোচনার রীতিনীতি ও মূল্যবোধ উপেক্ষা করে ব্যক্তিগত আক্রমণ বা ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের মানহানি ঘটায় তাহলে দেশের আইন যে তার প্রতিকার দেয় সে বিষয়েও কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল।

এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তির পরেও অনেকে এটাকে নানা ভাবে নিচ্ছেন। কেউ কেউ বলছেন, আমার তো এখন চা, চপ, ছমুচা, সিঙ্গারা এগুলা দেখলেই ভয় লাগছে। আরেকজন লিখেছেন, এদেশে আর কি কি করলে জেল হবে তার একটি তালিকা প্রণয়ন করে পাবলিক প্লেস এ ঝুলিয়ে রাখেন। সোশ্যাল এওয়‍্যারনেস তৈরিতে ভূমিকা রাখবে! দেশে ছাগল উৎপাদনে র সংখ্যা বাড়ছে। 

তবে অনেকে গঠনমূলক সমালোচনাকে উৎসাহ দিতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের এরকম বিজ্ঞপ্তির প্রশংসা করেছেন।  


মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password