রাজধানীতে গোয়েন্দা অভিযানে স্বামী-স্ত্রীর পেটের ভেতর থেকে সাড়ে ৫ হাজার ইয়াবাসহ তাদের আটক করা হয়েছে।
জানা গেছে, কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে রাজধানী ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল ইয়াবার এই চালানটির। প্রতিটি ইয়াবা বাবদ ১০ টাকা পাওয়ার কথা ছিল তাদের। ওই দম্পতির নাম যথাক্রমে মকবুল বেপারী ও রত্না বেগম।
আটক করার পর নিজেদের পেটের মধ্যে ইয়াবা বহন করার কথা স্বীকার করে তারা। পড়ে তাদের এক্সরে করার জন্য রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এক্সরে তে স্বামীর পাকস্থলিতে ৩ হাজার আর স্ত্রীর পাকস্থলিতে আড়াই হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়। এই দম্পতি জানায়, প্রতিপিস ইয়াবা বাবদ ১০ টাকা করে পাওয়ার কথা ছিল তাদের।
গোয়েন্দা অভিযানে চালানটি আটকের পর পুলিশ বলছে এর আগেও তারা পেটে করে ইয়াবার চালান নিয়ে এসেছিল।
এদিকে গ্রিন লাইন পরিবহণের একটি বাসে বিপুল পরিমাণ ইয়াবার চালান আসার তথ্য ছিল গোয়েন্দাদের কাছে। অভিযান চালিয়ে বাসটির এসির ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয় ২০ হাজার ইয়াবা। ইয়াবার এই চালানটির সাথে পরিবহণের লোকজন জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, প্রতিদিন বিভিন্ন উপায়ে রাজধানীতে মাদকের বড় বড় চালান ঢুকছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে বেশিরভাগ চালান ধরাও পড়ছে। তারপরও কোনোভাবেই মাদক চোরাচালান বন্ধ হচ্ছে না। তাই মাদক নিয়ন্ত্রণে সাধারণ জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান পুলিশের।
এদিকে বিলাসবহুল পরিবহণে মাদক চোরাচালান বন্ধে পরিবহণ সংশ্লিষ্টদেরকেও আইনের আওতায় আনার চিন্তা করছে পুলিশ।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন