রায়পুরায় কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গৃহবধু রিক্তার উপর হামলা ও শ্লীলতাহানি অভিযোগ

রায়পুরায় কু-প্রস্তাবে রাজি  না হওয়ায় গৃহবধু রিক্তার উপর হামলা ও শ্লীলতাহানি অভিযোগ

নরসিংদী প্রতিনিধি : নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চান্দেরকান্দি গ্রামে মেয়ে রিক্তা বেগম (২০), পিতা- বাবুল মিয়া এলাকার সন্ত্রাসীদের কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ২৪ শে মে রোজ সোমবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় রিক্তা বেগমের বাড়ীতে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে নুর আলম (৩০) এবং জাহাঙ্গীর (৪০) জোর পূর্বক প্রবেশ করিয়া রিক্তা বেগমের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে।

জানা গেছে যে, সন্ত্রাসীরা রিক্তা বেগমের শরীরের কাপড় বিবস্ত্র করে তার শ্লীলতাহানি ঘটায় এবং এলোপাথারী মারধরে জখম ঘটায়। অথচ রিক্তা বেগম ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে,  সন্ত্রাসী নুর আলম ও জাহাঙ্গীর রিক্তা বেগমের গর্ভের সন্তান নষ্ট করার অসৎ উদ্দেশ্যে তার তলপেটে একাধিক লাথি মেরে গুরুতর জখম করে। 

মেয়ে রিক্তা বেগমের ডাক চিৎকারে মেয়েকে বাঁচানোর জন্য রিক্তা বেগমের মা আহেল (৪৫) আগাইয়া আসিলে সন্ত্রাসী নুর আলম তাকেও দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে।

এদিকে রিক্তা বেগমের স্বামী সোহেল মিয়া এই খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে প্রতিবেশীদের সহযোগীতায় তার জখমী স্ত্রী ও শ্বাশুড়ীকে তৎক্ষনাৎ রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। হাসপাতালে আহতদের নেওয়ার পথে সোহেল মিয়াকেও সন্ত্রাসীরা পথরোধ করে এবং মারধর করে।

এ বিষয়ে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক জানান, ঘটনাটি সত্য এবং রোগীদের আঘাত খুবই গুরুতর। তাই আমরা অতি দ্রুত চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে নিয়েছি। বর্তমানে রোগীরা অনেকটা আশঙ্কামুক্ত রয়েছে।

এ বিষয়ে রিক্তার স্বামী সোহেল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, উল্লেখিত সন্ত্রাসী নুর আলম এবং জাহাঙ্গীর আমার ৩ মাসের গর্ভবতী স্ত্রীকে বিভিন্ন সময়ে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু আমার স্ত্রী এতে রাজি না হওয়ায় সন্ত্রাসীরা আমার স্ত্রীর প্রতি খুবই ক্ষিপ্ত হয়।

আমি উপায়ন্তর ভালো না দেখে আমার স্ত্রীকে শ্বশুর বাড়ি পাঠিয়ে দেই। কিন্তু সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে আজ ২৪ মে রোজ সোমবার আমার স্ত্রীকে মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার জন্য আমার শ্বশুর বাড়ীতে হামলা চালায়। এতে আমার স্ত্রী ও শ্বাশুড়ী দু’জনই মারাত্মভাবে আহত হয়।

এ বিষয়ে আমি বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। খোঁজ নিয়ে যানা যায়, ঘটনাস্থলে গিয়ে রায়পুরা থানার পুলিশ কর্মকর্তারা তদন্ত করে ফিরেছে। পরবর্তীতে অতি দ্রুত সময়ে তারা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সঠিক আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে।

এ বিষয়ে থানা কর্মকর্তা জানান, এসআই মনোয়ারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password