আরব সাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের কারণে যে ভ্যাপসা গরম পড়েছিল, তা কেটে গিয়ে বেড়েছে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। একই সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়া আশঙ্কায় নদীবন্দরে দেওয়া হয়েছে দুই নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত।আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের কারণে দেশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়েছে। দু'একদিন পর এই বর্ষণ আরো বাড়বে।
বুধবার (৩ জুন) দুপুর থেকে সারাদেশেই খেলা করছিল রোদ-বৃষ্টি। বিকেলে থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বর্ষণও হয়েছে। তারপর থেকে বৃহস্পতিবার (৪ জুন) সন্ধ্যায় প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশেই দফায় দফায় মুষলধারে বর্ষণ হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান জানান, ওয়েস্টার্ন ডিস্টার্বেন্স তথা পশ্চিম লঘুচাপের কারণে এই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃষ্টিপাতের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকবে। ৭ জুন একটু কমবে। এরপর থেকে আরো বাড়বে।
বর্ষণের কারণে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে জনজীবন। দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।
তবে ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলে পাহাড় ধসের কোনো আশঙ্কা নেই।এদিকে অন্য এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিমি বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
তাই এসব এলাকার নদীবন্দরকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।অন্যদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, দেশের প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানির উচ্চতা বাড়ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা পানি বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। আর ব্রহ্মপুত্র, যমুনার পানি কিছুটা হ্রাস পাচ্ছে।তবে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, বরাক উপত্যকা এবং সিকিমের বর্ষণ বাড়লে বাড়বে দেশের অধিকাংশ নদ-নদীর পানি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন