দাবানলে পুড়ছে পাকিস্তান বিভিন্ন এলাকা

দাবানলে পুড়ছে পাকিস্তান বিভিন্ন এলাকা

তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে দাবানলে পুড়ছে পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকা। ইসলামাবাদ বেশ কয়েকটি স্থানের বনাঞ্চলে দেখা দেয় এই দাবানল। গেল চারদিন ধরে এসব এলাকায় জ্বলছে আগুন। কিছু এলাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও পাঞ্জাবসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় অব্যাহত আছে দাবানল। পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। সাথে রয়েছে বাতাসের তীব্রতা। যেকারণে দ্রুতই ছড়াচ্ছে আগুন। দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় হওয়ায় উপদ্রুত এলাকায় পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে ফায়ার সার্ভিসের জন্য। হেলিকপ্টারের সাহায্যে চলছে আগুন নেভানোর চেষ্টা।

পাকিস্তানে মাত্র কয়েক দিন আগেই তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। দেশটিতে তাপমাত্রার পারদ হাফ সেঞ্চুরি পর্যন্ত পার করেছে। গরমের এই দখল কাটিয়ে উঠার আগেই দেশবাসীকে আরেকটি দুঃসংবাদের পূর্বাভাস দিয়েছে পাকিস্তান আবহাওয়া অধিদপ্তর (পিএমডি)।

সংস্থাটি বলছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির তাপপ্রবাহ কবলিত এলাকায় আকস্মিক খরা সদৃশ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। এতে কৃষি, পানিসম্পদ ও গবাদি পশুর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। খবর জিও নিউজের। পিএমডির জাতীয় খরা পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র এনডিএমসি এক পরামর্শমূলক বিবৃতিতে বলেছে, পাকিস্তানের তাপপ্রবাহ কবলিত অঞ্চলে আকস্মিক খরা সদৃশ পরিস্থিতির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

তাপপ্রবাহের কারণে সৃষ্ট এই আকস্মিক খরার ফলে এই বছর দেশে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি হতে পারে। সংস্থাটি বলছে, আকস্মিক খরার পরিস্থিতি খুব দ্রুত অবনিত হতে পারে। প্রায়ই সপ্তাহ বা এমনকি কয়েক দিনের মধ্যে এই পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পার। এই দ্রুত পরিবর্তনের কারণে দ্রুত বাষ্পীভবনের হার বাড়াতে পারে এবং মাটির উপরের স্তর থেকে পানি সরে যেতে পারে।

পাকিস্তানে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২৯ মে পর্যন্ত স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে মে মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত এবং ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার জেরে আকস্মিক খরা হতে পারে, বিশেষ করে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে। এনডিএমসি বলছে, পাকিস্তানে মে ও জুন মাস সাধারণত উষ্ণতম মাস। এই সময় দেশের তাপপ্রবাহের উচ্চ আশঙ্কা থাকে।

গত তিন সপ্তাহ ধরে দিন ও রাতের তাপমাত্রার আকস্মিক বৃদ্ধির কারণে এবার দেশে তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। তবে জুন মাসে এই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। এর ফলে কৃষি, পানিসম্পদ ও গবাদি পশুর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password