ঘূর্ণিঝড় নিসর্গের তাণ্ডবের পর নতুন যে ঝড়টি আসবে তার নাম ‘গতি’। আগামীর এই ঘূর্ণিঝড়টির নামকরণ করেছে ভারত। বুধবার (৩ জুন) যে প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের মহারাষ্ট্রের আলিবাগের দক্ষিণে আছড়ে পড়েছে, তার নাম ‘নিসর্গ’ রেখেছিল বাংলাদেশ। ঝড় বিষয়ক সংস্থা প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো জানায়, সাধারণত আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে, যে মহাসাগরে যে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়, তার অববাহিকার দেশগুলি সেই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে। একবিংশ শতাব্দীর গোড়ায় এই পদ্ধতি শুরু হয়। সেইমতো বিশ্বে ১১টি প্রতিষ্ঠান ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে।
এরইমধ্যে ২০০০ সালে ওমানের মাসকটে ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন ও ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড পেসিফিকের (WMO, ESCAP) ২৭তম বৈঠক আয়োজিত হয়েছিল। বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে উৎপত্তি হওয়া সব ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করতে সেই বৈঠকে বসেছিল সংগঠনটি। তারপর ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে উত্তর ভারত মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরু হয়েছিল। সেই সময় আটটি দেশ নামের পরামর্শ দিত। পরে সেই সংগঠনে আরও পাঁচটি দেশ যোগ দেয়।
ওই সংগঠনের সদস্য দেশগুলো হলো – বাংলাদেশ, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইয়েমেন। বর্তমান ঘূর্ণিঝড়ের যে তালিকা করা হয়েছে, তাতে প্রথম নাম ছিল ‘নিসর্গ’। আগের তালিকায় শেষ নাম ছিল আম্পান। ২০০৪ সালে আম্পানের নাম দিয়েছিল থাইল্যান্ড। অন্যদিকে নিসর্গের নামকরণ করেছে বাংলাদেশ। নিসর্গের পর নতুন ঘূর্ণিঝড়ের ‘গতি’। এর নামকরণ করেছে ভারত। তারপর আনসে ‘নিভার’। এর নাম দিয়েছে ইরান। এই ঘূর্ণিঝড়ের পর যথাক্রমে আসবে ‘বুরেভি’ (মালদ্বীপের দেয়া নাম), ‘তৌকতাই’ (মায়ানমারের প্রস্তাবিত নাম) এবং ইয়াস (ওমানের প্রস্তাবিত)।
প্রসঙ্গত, ভারতের মহারাষ্ট্র উপকূলে প্রবল বেগে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ। গত ১০০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে মুম্বাইয়ে আঘাত হানা প্রথম ঘূর্ণিঝড় এটি। এর ফলে মুম্বাই ও সংলগ্ন এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি এবং ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করে। নিসর্গের প্রভাবে বুধবার সকাল থেকে মুম্বাই থেকে ৫৮০ কিলোমিটার দূরে গোয়ায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন