করোনাকালে বিন্দু পরিমাণ অনিয়ম-দুর্নীতি সহ্য করা হবে না : প্রধানমন্ত্রী

করোনাকালে বিন্দু পরিমাণ অনিয়ম-দুর্নীতি সহ্য করা হবে না : প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা- করোনাভাইরাসের পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কেউ বিন্দু পরিমাণ অনিয়ম করলেও সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে ‍যুক্ত হয়ে সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশব্যাপী চলমান কার্যক্রম সমন্বয়ের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী এই ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে সংযুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সাধারণ ছুটি চলছে। এই ছুটিতে শ্রমজীবী ও দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের মানুষ যারা, তাদের জন্য সমস্যা বেশি। তাই তাদের মধ্যে সহায়তা বিতরণ অব্যাহত রাখতে হবে। ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত তালিকা করে তাদের কাছে সহায়তা পৌঁছে দিতে হবে। কিন্তু সেখানে কোনো ধরনের দুর্নীতি-অনিয়ম হলে এতটুকু ছাড় দেওয়া যাবে না। কারণ মানুষের দুঃসময়ের সুযোগ নিয়ে কেউ অর্থশালী সম্পদশালী হয়ে যাবেন, সেটা কিন্তু আমরা কখনো বরদাশত করব না। সেই বিষয়টি নিয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। আমি আগেই সাবধান করেছি, এ ধরনের কোনো অভিযোগ যদি পাই, আমি কিন্তু কাউকে ছাড়ব না। এ ব্যাপারে সবাই সজাগ থাকবেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি ডিসিদের বলব, সামাজিক নিরাপত্তামূলক কাজ যেগুলো আছে, যথাযথভাবে করতে হবে। কিন্তু যারা দিন আনে দিন খায়, প্রতিদিনের আয় দিয়ে বাজার করে খেতে হয়, সাধারণ ছুটির কারণে কাজ পাচ্ছে না বলে তারা আজ ভুক্তভোগী। তাদের কাছে আমাদের সাহায্য পৌঁছে দিতে হবে, যেন তারা অভুক্ত না থাকে। একইসঙ্গে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা ও সচেতন করার কাজটিও করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় যেসব শ্রেণি বা ব্যক্তি আগে থেকেই সহায়তা পেয়ে আসছে, তাদের জন্য সেই সেবা অব্যাহত থাকবে। কিন্তু এর বাইরেও যাদের প্রতিদিনের আয়ের ওপর নির্ভর করতে হয়, তাদের জন্য আলাদা তালিকা করতে হবে। প্রয়োজনে আমরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাদের কাছে অর্থ পৌঁছে দেবো। আল্লাহর রহমতে আমাদের কোনো অভাব নেই। আমাদের খাদ্যও যথেষ্ট পরিমাণে মজুত আছে। তাই আমরা তাদের অর্থ দেবো, তাদের কাছে খাদ্য দ্রব্য পৌঁছে দেবো। কারণ আমি চাই না, আমার দেশের মানুষ যেন খাবার বা অর্থের জন্য কষ্ট পায়।

তিনি বলেন, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে আতঙ্কিত হয়ে যার যা পরার দরকার নাই সেও তা পরছে। সবার পিপিইর প্রয়োজন নাই। এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে।’

‘পিপিই শুধু ডাক্তার, নার্স ও রোগীর যারা সেবা করবে তাদের পিপিই প্রয়োজন,’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ জন্যে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যাদের শুধু মাস্ক পরলেই চলবে তারা মাস্ক পরবে। যাদের গ্লাভস পরা দরকার তারা তা পড়বে। যারা গাউন পরতে চান তারা তা বানিয়ে নিবেন। সবার সবকিছু পরার দরকার নাই।’

পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, ‘আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নাই।’

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password