প্রকল্পের খরচ কমানোয় চীনের 'না' ভারতের 'হ্যা'

প্রকল্পের খরচ কমানোয় চীনের 'না' ভারতের 'হ্যা'

আখাউড়া-সিলেট এর বিদ্যমান মিটারগেজ লাইনকে ব্রডগেজে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সরকার। যার ফলশ্রুতিতে ২০১৯ সালে কিলোমিটার প্রতি প্রায় ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৬ হাজার ১০৪ কোটি টাকার জিটুজি চুক্তিতে প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় চীনের একটি কোম্পানি। সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশন প্রকল্পের অতিরিক্ত ব্যয় নিয়ে আপত্তি জানালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রকল্পের খরচ কমিয়ে ১২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা নির্ধারণ করে। তবে নতুন এই প্রস্তাবিত খরচে কাজ করতে অপারগতা প্রকাশ করে চীন। রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের অসমর্থিত সূত্র বলছে যে মুলত এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের সাথে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করবে যার কারণেই চীন এই প্রকল্প থেকে পিছিয়ে এসেছে।

তবে নতুন করে আলোচনায় এসেছে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ইরকন ইন্টারন্যাশনাল। প্রতিষ্ঠানটি উক্ত প্রকল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী। এক্ষেত্রে তাঁরা ভারতের এক্সিম ব্যাংক থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করে দিতে চায়। প্রতিষ্ঠানটি বলছে ১৯৮৬ সাল হতে এখন পর্যন্ত তাঁরা বাংলাদেশে ২৬টি প্রকল্পে কাজ করেছে। ফলশ্রুতিতে তাঁদের এই অঞ্চলের সাথে ভালো পরিচিতি আছে। তবে ভারত কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রকল্পের অভিজ্ঞতা নিয়ে খুব বেশি খুশি নয় বাংলাদেশ। প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি, মালামাল সরবরাহে ধীরগতি এবং নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহের মতো গুরুতর অভিযোগ ভারতের বিপক্ষে থাকায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই প্রকল্পে ভারতের অন্তর্ভুক্তির খুব বেশি আশা করছেন না। অন্যদিকে প্রকল্পটি যদি বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকার উন্নয়ন সহযোগি কর্তৃক বাস্তবায়িত হয় তাহলে বিশ্বের বিভিন্ন ঠিকাদার সেই টেন্ডারে অংশগ্রহণ করতে পারবে। যদিও রেলওয়ে মন্ত্রণালয় বলছে যে তাঁরা পুনরায় চীনের সাথে আলোচনা করবে। এক্ষেত্রে আলোচনা যদি ফলপ্রসূ না হয় তাহলে তাঁরা বিকল্প উৎস নিয়ে ভাববে।

২২৫ কিলোমিটারের আখাউড়া টু সিলেট মিটারগেজ লাইনকে ব্রডগেজ লাইনে রুপান্তরে ২০১৮ সালে যে হিসাব ধরা হয়েছিলো সেখানে কিলোমিটার প্রতি খরচ পরেছিলো প্রায় ৫৬ কোটি টাকা। যেখানে আখাউড়া টু লাকসাম লাইনে কিলোমিটার প্রতি খরচ পরেছিলো ২৪ কোটি টাকা, যার ফলে পরিকল্পনা কমিশন প্রকল্প খরচ কমানোর প্রস্তাব করে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password