জয় দিয়ে শেষ করতে পারলো না বাংলাদেশ

জয় দিয়ে শেষ করতে পারলো না বাংলাদেশ
MostPlay

অস্ট্রেলিয়ার মতো নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেও ৪-১ ব্যাবধানে সিরিজ জয়ের জন্য শেষ ম্যাচে টাইগারদের লক্ষ্য ছিল ১৬২ রানের। ১৬২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড বোলারদের সামনে হতাশা উপহার দেন বাংলাদেশের টপঅর্ডাররা। দলীয় ২৬ রানে প্রথম উইকেট হারালেও এরপর নিয়মিত বিরতিতে আরও ৩ উইকেট খোয়ায় স্বাগতিকরা। ২১ বলে ৩টি চারে ২৩ রান করা নাঈম শেখ বেন সিয়ার্সের বলে বিদায় নেন। আর ১০ রান করে স্পিনার এজাজ প্যাটেলে বলে স্কট কুগেলিনের কাছে ক্যাচ দেন লিটন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে আগের চার ম্যাচে সুযোগ না পাওয়া সৌম্য আউট হয়েছেন ৯ বলে ৪ রান করে। শেষ ম্যাচেও নিজের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি মুশফিক। ৮ বলে ৩ রান করে ক্যাচ তুলে দেন সাবেক এ অধিনায়ক। তার বিদায়ে ৮.৫ ওভারে ৪৬ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

সেখান থেকে আশার আলো জ্বালেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর আফিফ হোসেন ধ্রুব। পঞ্চম উইকেটে দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন তারা। জয়ের সম্ভাবনা ভালোভাবেই জেগেছিল এই জুটিতে। এই জুটি ঝড়ো ব্যাট করে ৪৩ বলে ৬৩ রান তোলেন। যেখানে মাহমুদউল্লাহ ২১ বলে এক চার ও এক ছক্কায় ২৩ রান করেন। কুগেলিনের বলে তুলে মারতে গিয়ে ফিন অ্যালেনকে ক্যাচ দেন অধিনায়ক। নুরুল হাসান সোহান (৪), শামীম হোসেন পাটোয়ারীরা (২) উইকেটে এসেছেন আর দেখে চলে গেছেন। ফলে আশা জাগিয়েও আর জয় ছোঁয়া হয়নি টাইগারদের। আফিফ অবশ্য শেষ পর্যন্ত ৩৩ বলে ৪৯ রান করে অপরাজিত থেকছেন। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেটে ১৩৪ রানের বেশি করতে পারেনি। যার ফলে সিরজের শেষ ম্যাচে ২৭ রানের জয় নিশ্চিত করে পরাজয়ের ব্যাবধান কমিয়েছে নিউজিল্যান্ড।

এর আগে মিরপুরে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে পাচঁ ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচে জ্বলে উঠলেন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে কিউইরা করেছে সংগ্রহ ১৬১ রান। যা এই সিরিজের সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ড। ম্যাচের শুরু থেকেই নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার চড়াও হয় বাংলাদেশের বোলারদের উপর। ৩১ বলে ৫১ রানের জুটি গড়ে এলিন-রবিন্দ্র। এরপর ৫.৩ ওভারে কিউই শিবিরে প্রথম আঘাত হানে শরিফুল। ৫৮ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙেন তিনি। রবিন্দ্রকে (১২ বলে ১৭) মুশফিকুর রহিমের তালুবন্দী করেন শরিফুল। ওই ওভারেই এক বল বিরতি দিয়ে ভয়ংকর অ্যালেনকেও তুলে নেন শরিফুল। এরপর ৮.৪ ওভারে দলীয় ৭১ রানে ইয়ংকে ফেরান আফিফ। এরপর এই সিরিজে আরও একবার ব্যার্থতার পরিচয় দেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। সিরিজে চতুর্থবারের মতো নাসুম আহমেদের শিকার হন গ্র্যান্ডহোম (৯)। এবারও বল আকাশে ভাসিয়ে মারতে চেয়েছিলেন। মিডঅফে দৌড়ে এসে ক্যাচ নেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। ৮৩ রানে ৪ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। এই সিরিজে পাঁচ ম্যাচে মাত্র ১৮ রান সংগ্রহ করেছেন গ্রান্ডহোম।

পঞ্চম উইকেটে হ্যানরি নিকোলসকে সঙ্গে নিয়ে ৩৫ বলে ৩৫ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক টম ল্যাথাম। ২১ বলে দুই বাউন্ডারিতে ২১ রান করে নুরুল হাসান সোহানের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন নিকোলস। এরপর কোল ম্যাককলিনকে সঙ্গে নিয়ে রীতিমতো তাণ্ডব চালান টম ল্যাথাম। শেষ দিকে মাত্র ২১ বলে ৪৩ রানের ঝড়ো জুটি গড়েন তারা। তাদের এই জুটিতেই ১৬১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে নিউজিল্যান্ড। ৩৭ বলে দুটি চার ও সমান ছক্কায় ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন ল্যাথাম। ১০ বলে তিন চারে ১৭ রান করেন ম্যাককলিন। এই ম্যাচের দিয়ে বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে শেষ ম্যাচ খেলে ফেলল বাংলাদেশ দল। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে টানা সিরিজ জয়ের স্বাদ নিয়ে বিশ্বপাক খেলতে যাচ্ছে টাইগাররা। টানা ধারাবাহিকতার ফলে টাইগার ভক্তরা এবারের বিশ্বকাপে ক্রিকেটারদের কাছ থেকে ভাল কিছু প্রত্যাশা করছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password