হেট্রিক জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ

হেট্রিক জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ

একটা সময় ক্রিকেট পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়ার সাথে জয় মানে স্বপ্ন ছিল। কিন্তু আজ শুধু একটা জয় না তাদের বিরুদ্ধে হেট্রিক জয়ের মধ্য দিয়ে সিরিজ ও জিতে নিয়েছে টাইগাররা।এ ত অবিশ্বাস্য এক গল্প। তবে গল্পটা অবিশ্বাস্য হলেও সেটা এখন বাস্তব।

শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ, প্রথমবারেই তাদের হারিয়ে দিয়েছে টাইগাররা। পাঁচ ম্যাচ সিরিজে প্রথম তিন ম্যাচেই অজিদের হারিয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে স্বাগতিকরা।

হালকা বৃষ্টির কারণে খেলা কিছু সময় পরে হলেও খেলা গরিয়েছে ২০ ওভার করেই। মিরপুরের শের ই বাংলা স্টেডিয়ামে ৭ আগস্ট শুক্রবার ছিল সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশের সামনে ছিল সিরিজ জয়ের মিশন। আর অজিদের সামনে ছিল সিরিজের সঙ্গে মান বাঁচানোর লড়াইও।

হালকা বৃষ্টির কারণে খেলা কিছু সময় পরে হলেও খেলা গরিয়েছে ২০ ওভার করেই। মিরপুরের শের ই বাংলা স্টেডিয়ামে ৭ আগস্ট শুক্রবার ছিল সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশের সামনে ছিল সিরিজ জয়ের মিশন। আর অজিদের সামনে ছিল সিরিজের সঙ্গে মান বাঁচানোর লড়াইও।

অস্ট্রেলিয়ার ভাগ্যে যেন টস টাও জিতলো না। বৃষ্টি বাধায় ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর শুরু হয় খেলা। গত দুই ম্যাচে টসে হেরে যাওয়া মাহমুদউল্লাহ তৃতীয় ম্যাচে টসে জিতে জান। ক্যাপটেন মাহমুদউল্লাহ নিয়ে নিলেন ব্যাট করার সিদ্ধান্ত।

তার পর খেলা শুরুতেই তালমাতাল বাংলাদেশের খেলোয়াররা। প্রথমে তিন রান করতেই হারায় ২টি উইকেট।পরে নিজেদের ২০ বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ১২৭ রান। টাইগারদের দেয়া লক্ষ্য টপকাতে গিয়ে অজি ব্যাটসম্যান মিচেল মার্শ ও বেন ম্যাকডেরমট হয়ে ওঠেন বিষফোঁড়া।

এই খেলাও অজি ওপেনিং জুটি ভাঙতে সময় লেগেছিল মাত্র ১.৩ ওভার। তাও সেই নাসুম। দ্বিতীয় ওভারে নাসুম আহমেদের বল শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ দেন ম্যাথু ওয়েড (১)।

এরপর ম্যাকডেরমটকে সঙ্গে নিয়ে মার্শ জুটি গড়েন ৬৩ রানের।একটু চাপের মুখে পড়ে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু ভাগ্য যাদের ফেভারে থাকে তাদের জন্য আর কিশের বিপদ? পরে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। ডেরমটকে ৩৫ (৪১) রানে ফিরিয়ে দিয়ে একটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে টাইগার টিম। 

পরের ওভারেই ব্যাক থ্রো এনে দেন তরুন পেসার শরিফুল ইসলাম ওভারের প্রথম বলেই নতুন ব্যাটসম্যান মইসিস হ্যানরিক্সককে মাত্র (২)রানে সাজঘরে ফেরান। অন্যপ্রান্ত আগলে রাখা মার্শও যেন খেই হারিয়ে ফেলেন টানা উইকেট পড়তে দেখে। নিজের অর্ধ্যশত পূরুন করেই তালমাতাল হয়ে পরেন তিনিও।

অস্ট্রেলিয়ানদের দলীয় ৯৪ রানের মাথায় আবারও আঘাত আনে পেসার শরিফুল। এবার আউট করে দলে জোঁকের মত লেগে থাকা মার্শকে ৫১ (৪৭) রানে ফিরিয়ে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন এই তরুণ পেসার।

অস্ট্রেলিয়ানদের যার বল নিয়ে ভয়ে ছিল সে কি তা আর বুঝে।নিজেকে সেই আসনে রেখেই গোটা ম্যাচেই কিপ্টে ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। ৪ ওভার বলে করে কোনও উইকেট না নিলেও করেছেন ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স। মাত্র ৮ রান দেন তিনি। নিজের শেষ ওভারে দেন মাত্র ১ রান।তবে তার বলে দুটি ক্যাচ উঠলেও নিতে পারেননি সতির্থরা।

শেষ ওভারে অজিদের লাগত ২২ রান। মেহেদী হাসানের ওভারে প্রথম বলে অ্যালেক্স ক্যারি ছক্কা হাঁকালেও ব্যর্থ হন বাকি রান তুলতে। ১০ রান দূরে থাকতেই শেষ হয় ইনিংস। আর বাংলাদেশ নাম লেখান নতুন এক ইতিহাসে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password