আসমানী’র “বিশ টাকায় বাজার” কার্যক্রম।

আসমানী’র “বিশ টাকায় বাজার” কার্যক্রম।

করোনায় লকডাউন থাকায় নিন্মআয়ের খেটে খাওয়া মানুষদের রোজগার প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।ফলে ময়মনসিংহ সিটি এলাকায় দুঃস্থ ও কর্মহীনদের জন্য স্বল্প মূল্যে ২০ টাকায় বাজার কার্যক্রম শুরু করেছে আসমানী ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি। আসমানী’র নির্বাহী পরিচালক দেবাশীষ বসাক বলেন, করোনা বিপর্য়য়ে পড়া অসহায় মানুষের সহায়তার লক্ষে আসমানী’র ও সুশিল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে বিশ টাকায় বাজার কার্যক্রম নেওয়া হয়।

তিনি আরো জানান , “বিশ টাকায় বাজার” কার্যক্রমে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ এবং তেলের সমন্বয়ে একটি প্যাকেজ ব্যাগ তৈরী করা হয়েছে। একজন সেবাগ্রহনকারী যখন এই সেবাটি গ্রহন করবেন তিনি যেনো একে দান হিসাবে মনে না করেন তার জন্য তার নিকট হতে প্যাকেজটির মূল্য স্বরুপ বিশ টাকা চেয়ে নেয়া হচ্ছে। বিনামূল্যে খাদ্যপণ্য নিতে অনেকেই সঙ্কচবোধ করতে পারে।

করোনাভাইরাসের প্রকোপে কর্মহীন হয়ে পড়া পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াতে তাই প্রতীকী মূল্য হিসাবে ২০ টাকা ধরা হয়েছে। ‘দুঃস্থ ও সুবিধাবঞ্চিত ছাড়াও বেশ কয়েকটি নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারও সহায়তা পেয়েছেন। মানুষ যাতে এটাকে ত্রাণসামগ্রী না ভাবেন, তাই মাত্র ২০ টাকার বিনিময়ে এই আয়োজন।

আসমানী ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি সমাজের বিভিন্ন পেশাজীবিদের নিকট হতে অনুদান সংগ্রহ করে উক্ত কাজকে চলমান রাখার প্রত্যয়ে নিরলসভাবে কাজ করছে।

গত মঙ্গলবার (৩ আগষ্ট) আসমানী ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি'র ময়মনসিংহের কেন্দ্রিয় কার্যালয়ে কার্যক্রমটির শুরুর প্রথমদিনে উপস্থিত ছিলেন আসমানী ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি’র সন্মানীত দাতা সদস্যবৃন্দের প্রতিনিধি শিলা রানী চন্দ, জগৎজ্যোাতি বসাক, জন সরকার, সুপ্রীয় দত্ত, রাশেদ মাহমুদ শুভ, রবিউল ইসলাম, নাসির হোসাইন, উপদেষ্টা অরুন দত্ত, এ্যাডমিন এ্যান্ড ফিন্যান্স কোর্ডিনেটর মহাদেব বণিক, সেচ্ছাসেবকবৃন্দ সুুুজিত রায়, আকাশ, সৌরভ রায়সহ অন্যান্য সদস্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password