চুল ও ত্বকের যত্নে আমলকী

চুল ও ত্বকের যত্নে আমলকী
MostPlay

ছোট্ট একটা ফল আমলকী অথচ গুনাগুণে পরিপূর্ণ। বছরের এই সময়টায় আমাদের দেশে বিপুল পরিমাণে আমলকী পাওয়া যায়। উপকারী ফল আমলকী শুধু খেতেই সুস্বাদু নয়, এর রয়েছে অনেক গুণাগুণ বিশেষ করে ত্বক এবং চুলের যত্নে। কিছু গুণাবলী নিয়ে আজ আলোচনা করা যাক। 

☑️আমলকীতে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই এর ব্যবহারে ত্বক থেকে মৃত কোষ সহজেই উঠে যায়। আমলকীর রসের সাথে চালের গুঁড়ো, মধু, গোলাপজল মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে মুখে ম্যাসাজ করতে হবে। প্রায় ১৫ মিনিটের মত মাস্কটি রেখে ধুয়ে ফেললে ত্বক থেকে মরা কোষ দূর হবে এবং ত্বক হয়ে উঠবে সতেজ এবং প্রাণবন্ত। 

☑️আমলকীর রস খুবই উপকারই বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের জন্য। আমলকীর রস মুখে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে দেয়না। নিয়মিত খেলে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া আমলকীর রসের সাথে মধু মিশিয়ে পান করলে ত্বক মসৃণ হয়। তবে অবশ্যই ধৈর্য ধরে নিয়মিত পান করতে হবে। 

☑️ অনেকের মুখে বয়সের সাথে বা রোদে বেশিক্ষণ থাকার কারণে কালো ছোপ ছোপ দাগ পড়ে যায়। আমলকীর রসের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগালে এই কালো ছোপ ছোপ ভাব দূর হয়। ত্বক সতেজ হয়। 

☑️ আমরা অনেকেই জানি আমলকীতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি আমাদের ত্বকের অভ্যন্তরে কোলাজেন সৃষ্টিতে সাহায্য করে যা ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  ত্বকের স্থিতিস্থাপক গুণ বৃদ্ধি পায়। 

☑️আমলকীর রসের সাথে অ্যালোভেরার রস মিশিয়েও ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে ত্বকের যাবতীর দাগ দূর হয় এবং ত্বক বেশ উজ্জ্বল হয়। 

☑️ এবার আসি চুলের ক্ষেত্রে আমলকীর অবদান সম্পর্কে। আমলকীর এবং লেবুর রস চুলের গোড়ায় ২০-৩০ মিনিট দিয়ে পরবর্তীতে শ্যাম্পু দিয়ে বা পানি দিয়ে পরিষ্কার করে ফেললে চুলের গোড়া শক্ত হয়। চুল পড়ার সমস্যা অনেকাংশেই কমে যায়।

☑️নিয়মিত আমলকির রস ব্যবহার করলে চুল পড়া রোধ হয়।  কারণ আমলকির রসে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা চুলের গোড়া থেকে খুশকি দূর করে। চুলকে মসৃণ এবং ঝলমলে করে তুলে। 

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password