দেশীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইওরেঞ্জ.শপের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার অর্ডার নিয়ে এখন পণ্য ডেলিভারি না দেওয়ার অভিযোগ এসেছে।
গ্রাহকরা জানান স্বপ্ন ভাউচার, সামার ভাউচার নামে ডাবল টাকা ভাউচার বিক্রয় করেন ইওরেঞ্জ.শপ। স্বপ্ন ভাউচার নামে মাত্র প্রথম পর্যায় কিছু গ্রাহক ডেলিভারি পেলেও বেশির ভাগ গ্রাহকই পাননি। তবে প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদেরকে জানিয়েছে তারা স্বপ্ন ভাউচার রিফান্ড করবেন। কিন্তু দীর্ঘ ২ মাস পার হয়ে গেলেও এখন কোন গ্রাহক স্বপ্ন ভাউচার রিফান্ড পাননি বলে জানান।
ইওরেঞ্জ.শপ তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একের পর এক নোটিশ দিয়ে মুলা ঝুলিয়ে যাচ্ছে গ্রাহকদেরকে। চলতি বছরের ৪ জুলাই ই-কমার্সকে নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন নীতিমালা প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে তারা নানান অজুহাত দেখিয়ে সামার ভাউচার ব্যালেন্স দিয়ে পণ্য অর্ডার করে পেমেন্ট করার অপশন বন্ধ করে দেয়।
গ্রাহকরা তাদের কাছে সুনির্দিষ্ট সমাধান চাইলে তারা জানান, আমরা এ ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে বৈঠকে বসবো, ভাউচারের টাকা কি করবে সে বিষয়ে বৈঠক শেষে জানানো হবে।
সামার ভাউচারের কোটি কোটি টাকা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটি হোল্ড করে রেখেছে। নতুন নীতিমালা তার অপর লকডাউন চলাকালীন সময়ে ইওরেঞ্জ.শপ কোন নোটিশ ছাড়া গোপনে তাদের মালিনা পরিবর্তন করেছে।
গ্রাহকদের এ ব্যাপার কোন কিছু জানানো হইনি এবং তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে কোন নোটিশ দেয়া হইনি।
লকডাউন শেষ হলে গত ১১ আগস্ট ২০২১ গ্রাহকদের একটি গ্রুপ নতুন মালিক ও ম্যানেজমেন্টের সাথে পরিচিত হতে এবং তাদের ডেলিভারি গুলো নিয়ে কি চিন্তা ভাবনা করছেন সেগুলো জানার জন্য ইওরেঞ্জ.শপের অফিসে যায়।
কিন্তু অফিসে গিয়ে মালিকপক্ষ বা নতুন ম্যানেজমেন্টের কাউকে পায়নি। অফিসে নামে মাত্র কিছু অফিস স্টাফ ছিল। তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা গ্রাহকদেরকে আশানরূপ কোন উত্তর দিতে না পারলে গ্রাহকরা তাদের বলে আপনাদের ম্যানেজমেন্টের অথবা মালিকপক্ষকে অফিসে আসতে বলেন।
অফিস স্টাফরা ম্যানেজমেন্টের সাথে যোগাযোগ করার পর তারা জানান ম্যানেজমেন্ট বা মালিক পক্ষ কেউ এখন অফিসে আসতে পারবে না।
এরপর গ্রাহকরা গুলশান থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর শাহানুর রহমানকে নিয়ে অফিস এলে ইওরেঞ্জ.শপের (সিটিও) ইওরেঞ্জ. শপের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে লাইভ এ আসেন। এবং বলেন লকডাউনের জন্য তারা হোম অফিস করছেন। তারা ডেলিভারি লিস্ট ১৬ তারিখ দিবেন এবং ১৭ তারিখ থেকে পন্য ডেলিভারি শুরু করবেন। আশ্বাস পাওয়ার পর গ্রাহকরা অফিস থেকে চলে আসেন।
১৬ আগস্ট ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটি তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে নোটিশ দেন তারা এখন বাইক ডেলিভারি করতে পারবেন না, বাইক ডেলিভারি দিতে তাদের আরো ৪৫-৬০ কার্যদিবস লাগবে।
কোন গ্রাহক প্রিন্সিপাল এমাউন্ট রিফান্ড নিতে চাইলে তাদেরকে ইমেল করে জানাতে অথবা কল সেন্টারে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। তবে রিফান্ড কত দিনের ভিতর দিবে তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেনি।
একের পর এক নোটিশের মুলা ঝুলিয়ে গ্রাহকের টাকা নিয়ে প্রতারণা করার চেস্টা চালাছেন বলে মনে করছেন গ্রাহকরা। এখন গ্রাহকরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যাবস্থাসহ প্রেস কনফারেন্স করবেন বলে জানান।
ইওরেঞ্জ.শপের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা (এমপি)। গ্রাহকরা জানান প্রয়োজনে তারা মাশরাফীর সাথেই যোগাযোগ করবেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন