পৃথিবীতে ‘মানুষের ছদ্মবেশে’ আমাদের মাঝেই বসবাস করছে এলিয়েন। নতুন এক গবেষণায় এমনটাই বলা হয়েছে। পৃথিবীতে ‘মানুষের ছদ্মবেশে’ বহির্জাগতিক জীবনের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তাদের দাবি, ‘বহু এলিয়েন পৃথিবীতে গোপনে মানুষের মধ্যে বসবাস করছে।’
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘হিউম্যান ফ্লোরিশিং প্রোগ্রাম’ এর গবেষকদের একটি নতুন গবেষণাপত্রে এই দাবি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গবেষক দল দীর্ঘদিনের গবেষণায় বেশ কিছু ‘অপরিচিত লোক এবং অস্বাভাবিক ঘটনা’ খেয়াল করেছেন। যেগুলো সাধারণত বহির্জাগতিক প্রাণীর দ্বারাই সম্ভব। তবে এরা চাঁদে বা পৃথিবীতে আমাদের সাথে হাঁটতে পারে।
এছাড়াও গবেষকরা বলছেন, কিছু বায়বীয় ঘটনাও এলিয়েনদের উপস্থিতির কথা জানান দিচ্ছে। গবেষণাপত্রে বলা হয়, গবেষকরা বিভিন্ন পর্যবেক্ষণের প্রমাণ এবং তত্ত্বের গভীরতা সম্পর্কে ক্রমশ সচেতন হয়ে ওঠেন। আর ধীরে ধীরে তারা উপলব্ধি করতে শুরু করেছেন।
গবেষণাটি তথাকথিত ‘ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস’ এর ধারণা নিয়ে আরও গবেষণা করছে। তবে তাদের ধারণা, এলিয়েনরা হয়তো মানুষের ছদ্মবেশে আমাদের মধ্যে বসবাস করছে। এরা পৃথিবীর ভবিষ্যৎ থেকে উদ্ভূত হতে পারে। কিংবা বুদ্ধিমান ডাইনোসর থেকেও আসতে পারে।
গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ‘ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়াল’ চারটি আকারে আসতে পারে:
হিউম্যান ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস: এরা প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত প্রাচীন মানব সভ্যতা। এরা অনেক আগেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু কিছু অবশিষ্ট আকারে বিদ্যমান আছে।
হোমিনিড বা থেরোপড ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস: এরা প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত অ-মানব সভ্যতা, যা কিছু স্থলজ প্রাণীর সমন্বয়ে গঠিত। এরা পৃথিবীতে গোপনে বসবাসের জন্য বিবর্তিত হয়েছিল। এগুলো একটি বানরের মতো হোমিনিড বংশধর বা ‘অজানা বুদ্ধিমান ডাইনোসর’ এর বংশধরও হতে পারে।
সাবেক এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল বা এক্সট্রাটেম্পেস্ট্রিয়াল ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস: এই প্রাণীরা মহাজাগতিক বা মানব ভবিষ্যত থেকে পৃথিবীতে এসে পৌঁছতে পারে এবং চাঁদের মতো লুকিয়ে থাকতে পারে।
জাদুকরী ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস: এমন সত্তা, যাদের মাঝে স্বদেশী এলিয়েনদের মতো বৈশিষ্ট কম রয়েছে। এই প্রাণীগুলো মানব জগতের সাথে সম্পর্কিত, তবে কম প্রযুক্তিগত। আর এরা বেশ যাদুকর, যেমন ‘পরী’।
গবেষকরা স্বীকার করছেন, তাদের গবেষণা ‘অধিকাংশ বিজ্ঞানীদের দ্বারা সন্দেহজনকভাবে বিবেচিত হতে পারে’ কিন্তু বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়কে ‘জ্ঞান, নম্রতা এবং খোলামেলা মনোভাব নিয়ে’ তাদের দাবি বিবেচনা করার আহ্বান জানান।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন