শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, করোনার কারণে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো কওমি মাদরাসা বন্ধ রাখতে হবে। যারা খোলা রাখবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে পুলিশ প্রশাসনের কাছেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনার দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণ করতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, অপরাধ কেউ করলে প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করবে। রাজনীতি কেউ করতে চাইলে রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করবে। কিন্তু রাজনীতি করব না, রাজনৈতিক কর্মী না আমি, আবার রাজনীতির নাম করে জ্বালাও-পোড়াওয়ের মতো ঘটনা ঘটাবে, এইসব কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। মানুষের ভোগান্তি, জানমালের ক্ষতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ইতিমধ্যে হেফাজতের বিরুদ্ধে অ্যাকশান চলমান আছে। আপনারা দেখছেন বিভিন্ন জায়গায় অ্যাকশন শুরু হয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে যারা অরাজকতা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় হেফাজতের আক্রমণের শিকার হয়ে এক আওয়ামী লীগ নেতা মারা গেছেন। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি কাদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে তা খুঁজে বের করতে হবে।
এ ছাড়া মামুনুল হককে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, কে কত বড় নেতা সেটা দেখার কোনো বিষয় নেই। প্রতিবাদ-প্রতিরোধের মুখে, ভয়ে মামুনুল চট্টগ্রামে আসে নাই। এ ব্যক্তি চরিত্রহীন ব্যক্তি। মিনিটে একজনকে তার স্ত্রী বানায়, আবার কিছুক্ষণ পর আরেক জনকে তার স্ত্রী বলে। এই ধরনের অপকর্মে হেফাজতের নেতা কর্মীরা কিভাবে জড়িত থাকে তা জাতি জানতে চায়।
এতিমখানার ছাত্র-ছাত্রীদের এইসব বিষয়ে সজাগ হওয়ার আহবান জানান নওফেল। কোমল মতি শিক্ষার্থীদের উস্কানি দিয়ে মাঠে নামানো হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন