অনেকদিন পর পুরানো রুপে দেখা গেল মোহাম্মদ আশরাফুলকে। স্কোর বোর্ডে ১৭৩ রান জমা করেও মুলত আশরাফুলের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের কাছে হেরে গেছে শিরোপা দৌড়ে থাকা আবহনী। শেখ জামালের হয়ে আগের ম্যাচেই মোহাম্মদ আশরাফুলের স্লো ব্যাটিং নিয়ে প্রচুর সমালোচনা হচ্ছিল। একদিন যেতে না যেতেই সেই জবাব ব্যাট দিয়েই যেন দিলেন টেস্ট ক্রিকেটের সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরীয়ান। বয়স ৩৭ ছুঁই ছুঁই হলেও ব্যাটিংটা যে তিনি এখনও ভুলে যাননি তারই যেন একটা প্রমান দিলেন। আবহনীর বোলারদের বেশ ম্লান মনে হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রথম সুপারস্টার আশরাফুলের সামনে। আশরাফুলের ৪৮ বলে খেলা হার না মানা ৭২ রানের ইনিংসে ৬ উইকেটে জিতেছে শেখ জামাল।
আবহনির দেয়া ১৭৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১২ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে বসে শেখ জামাল। সেখান থেকে শেখ জামালকে টেনে নেয়ার দায়িত্ব নেন দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মোহাম্মমদ আশরাফুল ও নাসির হোসেন। ৬৯ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের ভীত করে দেন এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। দলীয় ৮১ রানের সময় ৩৬ রানা করে নাসির ফিরে গেলেও অপর প্রান্তে অবিচল ছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ৩৬ বলে তুলে নেন নিজের অর্ধশতক। ফিফটি করেও থেমে থাকেননি তিনি, ঝড়ো গতিতে ব্যাট চালিয়ে গেছেন দলের জয় নিশ্চিত করার জন্য। আশরাফুলকে ভাল সঙ্গ দিয়েছেন গতকালই জাতীয় দলের তিন ফরম্যাটে দলে ডাক পাওয়া শেখ জামালের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। তিনিও নাসির হোসেনের সমান ৩৬ রান করেন। ১৪১ রানের মাথায় সোহান আউট হয়ে গেলে শেখ জামালের হয়ে বাকি কাজটা সারেন মোহাম্মদ আশরাফুল ও জিয়াউর রহমান। শেষ পর্যন্ত ৯ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে শেখ জামাল। মোহাম্মদ আশরাফুল ৭২ ও জিয়াউর রহমান ২২ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন। ৮ চার ও ২ ছয়ে ৭২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলা জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়কের হাতে ম্যাচসেরার পুরস্কার।
এর আগে এর আগে লিটন দাস ও নাইম শেখের মারকুটে দুটি ইনিংসে ভর করে ৭ উইকেটে ১৭৩ রান তুলেছিল আবাহনী। অনেকদিন পরে আজ লিটন কুমারকে চেনা রুপে দেখা গেছে। ৫১ বলে ৭০ রানের ইনিংস খেলেছেন জাতীয় দলের এই উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান। দলীয় ১ রানেই ইনফর্ম মুনিম শাহারিয়ায়ের উইকেট হারানোর পর নাইম শেখের সাথে ৬৮ রানের জুটি গড়ে মুশফিকবিহীন আবহনীকে বড় রানের ভিত্তি গড়ে দেন লিটন। সাজঘরে ফেরার আগে ২৮ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলেন নাইম শেখ। শেষদিকে মোসাদ্দেকের ১৬ ও আফিফের ১৯ রানের কল্যাণে ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ১৭৩ আরনের পুজি পায় আবহনী। শেখ জামালের জিয়াউর রহমান ও আফ্রিদী ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন