শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে মাহমুদউল্লাহদের ১ উইকেটে হারাল আবহনী

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে মাহমুদউল্লাহদের ১ উইকেটে হারাল আবহনী

নাটকীয়তায় ভরা এক ম্যাচ দেখা গেল মিরপুরের শেরে এ বাংলা স্টেডিয়ামে। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের গাজী গ্রুপ ক্রিকের্টাসকে ১ উইকেটে হারিয়ে শিরোপার দাবি আরও শক্ত করলো মুশফিকুর রহিমদের আবহনী। কিছুক্ষন পর পর রঙ পাল্টানো ম্যাচে ১ বল বাকি থাকতে জয় নিশ্চিত হয়ে যায় আকাশি নীল জার্সি ধারীদের।

প্রথমে গাজী গ্রুপকে ১৩০ রানে আটকে দিয়ে জয়ের ভীতটা গড়ে দেয় আবহনীর বোলাররা। সহজ টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ইনফর্ম মুনিম শাহারিয়ারের (০) উইকেট হারিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় আবাহনী। গত ম্যাচেই দলে ফেরা লিটন চেষ্টা করেছেন নিজেকে খুঁজে পেতে কিন্ত বেশিদুর যেতে পারেননি। মেহেদী হাসানের বলে ১৭ বলে ২২ রান করেই ফিরে গেছেন সাজঘরে। অধিনায়ক মুশফিকও আজ বেশিক্ষন টিকতে পারেননি। আউট হয়ে গেছেন ১২ রান করেই। মুশফিক আউট হওয়ার পর মোসাদ্দেক(০) ও নাইম(২) ক্রিজে এসেই আউট হয়ে গেলে ৬৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে শিরোপা প্রত্যাশিরা। ম্যাচ যখন গাজীর দিকে হেলে পরেছে তখন নাজমুল শান্তর ব্যাটে চড়ে আবারও জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে আবহনী।

শান্তর অর্ধশতকে যখন আবাহনী জয়ের স্বপ্ন দেখছে তখন গাজী গ্রুপের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বলে হাতে জাদু দেখালেন। এক ওভারে পরপর দুই বলে তুলে নিলেন শান্তকে ভাল সঙ্গ দেয়া আফিফ(১৪) ও সাইফুদ্দিনকে(০)। এর পরের ওভারে ব্যাক্তিগত ৫৮ রান করে মুগ্ধর বলে শান্ত আউট হয়ে গেলে ম্যাচ আবার ঘুরে যায় গাজীর দিকে। কিন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে আবহনীর বাঁহাতি পেসার মেহেদী হাসান রানা ব্যাট করতে নেমেই পরপর দুই বলে দুই চার মেরে ম্যাচ আবহনীর দিকে নিয়ে আসেন। জয় থেকে ৩ রান দূরে থাকতে রানা রান আউট হয়ে যান। জয়ের জন্য শেষ তিন বলে দরকার ৩ রান, হাতে আছে ১ উইকেট। সেখান থেকে আরাফাত সানী ও তানজিম সাকিব ১ বল বাকি থাকতেই আবহনীর জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। গাজী গ্রুপের হয়ে মকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ৩টি, মেহেদী ও মাহমুদউল্লাহ ২টি করে উইকেট শিকার করেন।

এর আগে টস জিতে প্রতিপক্ষ গাজী গ্রুপ ক্রিকের্টাসকে ব্যাট করতে পাঠায় আবহনী। ব্যাট করতে নেমে তেমন একটা সুবিধা করতে পারেনি গাজী গ্রপ। আবহনীর পেসারদের তোপে নির্ধারীত ২০ ওভারের ৫ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয়েছে মাত্র ১৩০ রানে। শুরুতে সাইফুদ্দিনের বলে মেহেদী হাসান ৩ করে বিদায় নিলেও অপর ওপেনার সৌম্য সরকার ও জাকির হাসান ভালোই টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন দলকে। সৌম্য ৩০ রান করে মোসাদ্দেকের বল বিদায় নিলে ভাঙে তাদের ৪৫ রানের জুটি ।

এরপর দলীয় ৭১ রানের মাথায় ২৭ রান করে জাকির ফিরে গেলে গাজি গ্রুপের আর কোন ব্যাটসম্যান আবহনীর বোলারদের জবাব দিতে পারছিলেন না। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকেন তারা। গাজী গ্রুপের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের কেউ বড় রান করতে পারেননি। ইয়াসির আলী ১২, মাহমুদউল্লাহ ১৬, আরিফুল হক ০, আকবর আলীরা ০ করে ফিররে গেলে বিপদে পড়ে যায় গাজী গ্রুপ। শেষদিকে বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়ক মমিনুল হকের ১২ বলে ২৫ রানের সুবাদে ১৩০ রানের পূজি পায় গাজী গ্রুপ। আবহনীর হয়ে সাইফুদ্দিন ৪ ওভার বল করে ১৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার কররেন। এছাড়া মেহেদী হাসান রানা ৩২ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password