করোনা সামলাতে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আলাদা ইউনিট

করোনা সামলাতে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আলাদা ইউনিট

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পরিচালিত জেনারেল হাসপাতালে আলাদা একটি ইউনিট খোলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) চট্টগ্রাম আদালত ভবন এলাকায় ‘মশকমুক্ত পরিচ্ছন্ন সবুজ নগরী’ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিষয়টি জানান সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

সিটি মেয়র জানান, করোনাভাইরাস সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ১ লাখ লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে চসিক পরিচালিত নগরীর সকল আরবান হেলথ সেন্টারগুলোতে এ সম্পর্কিত করণীয় নির্ধারণে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

মেয়র বলেন, ‘করোনাভাইরাস আজ একটি বৈশ্বিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ১১৪টি দেশে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। দেশের অন্যান্য সিটির মতো সরকারের নির্দেশনা মতে আমরা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নগর জুড়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান কর্মসূচি শুরু করছি। একই সঙ্গে ওয়ার্ড এলাকার নালা-নর্দমা পরিষ্কারের কাজ হাতে দিয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মুজিববর্ষ বাস্তবায়নের একটি উদ্যোগ হিসেবে ‘পরিচ্ছন্ন গ্রাম, পরিচ্ছন্ন শহর’ কর্মসূচি উদ্বোধন করেছেন। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ‘মশকমুক্ত পরিচ্ছন্ন সবুজ নগরী’ বাস্তবায়ন কর্মসূচির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পাইলট প্রকল্প হিসেবে চট্টগ্রাম আদালত ভবন এলাকায় কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। বছরব্যাপী এই কার্যক্রম চলবে।

মেয়র নাছির উদ্দীন বলেন, করোনার বিস্তার ও সংক্রমণ রোধে আগাম প্রস্তুতি নিতে প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন, জেলা সিভিল সার্জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে নিয়ে আলোচনা করে করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

 

এদিকে চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সামলাতে ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে পাহাড়ের ওপরের অংশে আলাদা ব্লকে ১০০ শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলায় এক হাজার ৪০০ বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। সীতাকুণ্ডে অবস্থিত বিআইটিআইডি হাসপাতালে চালু করা হয়েছে ১০ শয্যার ইউনিট। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে এখন একটি আইসোলেশন ওয়ার্ড আছে। পরিস্থিতি বেশি খারাপ হলে কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে চট্টগ্রামের দুই স্কুল।

অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন, চসিক সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকীসহ কার্যক্রমে নিয়োজিত পরিচ্ছন্ন কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password