ভারতীয় কফ সিরাপ খেয়ে ৬৬ শিশুর মৃত্যুর সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

ভারতীয় কফ সিরাপ খেয়ে ৬৬ শিশুর মৃত্যুর সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
MostPlay

গাম্বিয়াতে ভারতীয় কোম্পানির চার ধরনের কফ সিরাপ খেয়ে ৬৬ শিশুর মৃত্যুর পর বৈশ্বিক সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটি সতর্ক বার্তায় বলেছে, শিশুদের মৃত্যুর সঙ্গে কফ সিরাপগুলোর সম্পর্ক থাকতে পারে। সতর্কতা জারির আগে এই বিষয়ে তদন্ত শুরুর ঘোষণা দিয়েছিল বৈশ্বিক সংস্থাটি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।

ডব্লিউএইচও বলেছে, ৬৬ শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ও কিডনির অসুস্থতার সঙ্গে এই সিরাপগুলোর সম্ভাব্য সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এই কফ সিরাপগুলো উৎপাদন করেছে ভারতীয় কোম্পানি মাইডেন ফার্মাসিউটিক্যালস। ডব্লিউএইচও বলেছে, কোম্পানিটি এই সিরাপগুলোর নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

এই বিষয়ে ভারতীয় কোম্পানিটি এখনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। ভারতীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা ডব্লিউএইচও-এর কাছে মৃত্যুর সঙ্গে সিরাপের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ চেয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চিহ্নিত ওষুধগুলো হলো, প্রোমেথাজাইন ওরাল সলিউশন, কোফেক্সমালিক বেবি কফ সিরাপ, ম্যাকফ বেবি কফ সিরাপ ও ম্যাগ্রিপ এন কোল্ড সিরাপ। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, গাম্বিয়াতে এই ওষুধগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।

কিন্তু হয়ত এগুলো অপর দেশ বা অঞ্চলেও বিতরণ করা হয়ে থাকতে পারে। সতর্ক বার্তায় আরও বলা হয়েছে, এগুলো সেবনের ফলে গুরুতর অসুস্থ বা মৃত্যু হতে পারে, বিশেষ করে শিশুদের। জুলাই মাসে গাম্বিয়াতে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে ভয়াবহ কিডনি অসুস্থতা ধরা পড়ার পর ডব্লিউএইচও এই হস্তক্ষেপ করলো।

গাম্বিয়া সরকার এই চারটি প্যারাসিটামল সিরাপের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। জনগণকে আহ্বান জানিয়েছে, সিরাপের বদলে ট্যাবলেট সেবনের জন্য। ডব্লিউএইচও বলেছে, গবেষণাগারে নমুনা পর্যালোচনায় দেখা গেছে এই সিরাপগুলোতে দূষণ উপাদান হিসেবে অগ্রহণযোগ্য মাত্রায় ডাইথাইলিন গ্লাইকোল এবং ইথিলিন গ্লাইকোলের উপস্থিতি রয়েছে।

এই উপাদান দুটি বিষাক্ত এবং এর প্রভাবে পাকস্থলীতে ব্যথা, বমি, ডায়রিয়া, মূত্র বিসর্জনে অক্ষমতা, মাথাব্যথা, পরিবর্তিত মানসিক অবস্থা ও কিডনির গুরুতর অসুস্থতায় মৃত্যুর দিকে নিয়ে যেতে পারে। গাম্বিয়ার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, গত মাসে কয়েক ডজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সংখ্যা তারা জানায়নি।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password