এবার বৃহত্তম লকডাউনে যাচ্ছে চীন

এবার বৃহত্তম লকডাউনে যাচ্ছে চীন
MostPlay

চীন নতুন লকডাউনের মাধ্যমে করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টাকে জোরদার করছে। নতুন শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় উত্তরের শহর জিয়ানের ১৩ মিলিয়ন বাসিন্দাকে লকডাউনের অধীনে আনছে তারা। ফেব্রুয়ারিতে চীনের বেইজিংয়ে শীতকালীন অলিম্পিক আয়োজনের কয়েক সপ্তাহ আগে এ ঘোষণা এলো।

তবে কোন ভাইরাস; ওমিক্রন না-কি সাধারণ ডেল্টা- সে সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি। চীন মাত্র সাতটি শনাক্ত রিপোর্ট করেছে- চারটি গুয়াংজুয়ের দক্ষিণের উৎপাদনকেন্দ্রে, দুটি দক্ষিণ শহর চাংশায় এবং একটি তিয়ানজিনের উত্তর বন্দরে।

কর্তৃপক্ষ কঠোর মহামারি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তাদের লক্ষ্য নতুন সংক্রমণ শূন্যে নিয়ে আসা। যার ফলে ঘন ঘন লকডাউন, সর্বজনীন মাস্কিং এবং গণপরীক্ষার পরিমাণ বৃদ্ধি। যদিও নীতিটি সম্পূর্ণরূপে সফল হয়নি। ভ্রমণ ও বাণিজ্য চলমান থাকায় ভাইরাসের বিস্তার ঠেকানো যায়নি।

জিয়ানের বিধি-নিষেধ ২০২০ সালের পর কঠোরতম। সে সময় দেশটি উহানের কেন্দ্রীয় শহর এবং এর আশপাশে ১১ মিলিয়নেরও বেশি লোকের ওপর কঠোর লকডাউন আরোপ করে। যেখানে ২০১৯ সালের শেষের দিকে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত করা হয়েছিল।

জিয়ান বৃহস্পতিবার আরো ৬৩টি স্থানীয় সংক্রমণ রিপোর্ট করেছে। বর্তমানে সেখানে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ২১১। জিয়াস শানসি প্রদেশের রাজধানী, শিল্পের একটি প্রধান কেন্দ্র। এটি বেইজিংয়ের পশ্চিমে, ১০০০ কিলোমিটার দূরে। জিয়ানের হ্যানটিং হোটেলের একজন রিসেপশনিস্ট বলেন, আমরা কোনো নতুন অতিথিকে গ্রহণ করছি না এবং কোনো উপস্থিত অতিথিকে হোটেল ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। অতিথিসহ আমাদের প্রতি দুই দিনে একবার একটি পরীক্ষা করাতে হবে।

আমাদের ব্যবসার ওপর প্রভাব পড়বে এবং এটি কতদিন স্থায়ী হবে তা আমরা জানি না। স্থানীয় একটি বইয়ের দোকানের মালিক বলেন, তিনি ১০ দিনের জন্য 'মহামারি পরিস্থিতির অবনতির ভয়ে' বন্ধ রেখেছিলেন তাঁর দোকান। তিনি বলেন, আমি এখন ঘরে বসে টেলিভিশন দেখছি।

আমি মনে করি পরিস্থিতি শেষ পর্যন্ত ভালো হয়ে যাবে, এবং আমি মোটেও চিন্তা করি না কারণ আমাদের পেছনে সরকার আছে। একটি সরকারি আদেশে বলা হয়, প্রতিটি পরিবার থেকে একজন ব্যক্তিকে প্রতি দুই দিনে গৃহস্থালীর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে অনুমতি দেওয়া হবে। লকডাউনটি বুধবার মধ্যরাতে কার্যকর হয়। কখন এটি উঠবে তা কেউ জানে না।

সূত্র : অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password