মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীতে যাত্রীবাহী এমডি জাহিদ-৩ নামের একটি লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে গেছে সিমেন্ট বোঝাই একটি ট্রলার। এ ঘটনায় ডুবে যাওয়া নৌযানটির ৫ জনের মধ্যে ৩ জন উদ্ধার হলেও নিখোঁজ থাকে সুকানি শরিফুল ইসলাম (২৮) ও লস্কর নুর ইসলাম (৪০)।

তাদেরকেও উদ্ধার করা হয়। শনিবার (২৬ মার্চ) ভোর ৬টার দিকে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাট এলাকায় এদুর্ঘটনা ঘটে। নৌজান থেকে উদ্ধার হওয়া ৩ জনের কাছ থেকে জানা যায়, সকালে মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর ক্রাউন সিমেন্ট কারখানা থেকে সাড়ে ৭ হাজার বস্তা সিমেন্ট নিয়ে পাবনার নগরবাড়ির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছিলো বাল্কহেডটি।

নৌযানটি মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাট এলাকায় পৌঁছালে ঢাকামুখী লঞ্চ এমভি জাহিদ-৩ নামের একটি লঞ্চ ধাক্কা দেয়। এতে বাল্কহেডটি ডুবে গেলে বাল্কহেডে থাকা ৫ জনের মধ্যে লস্কর জুয়েল রানাসহ মাস্টার সুফিয়ান (৩৬) ও বিল্লাল (৩০) এই তিনজন সাঁতরে অপর আরেকটি ট্রলারে উঠতে সক্ষম হন।

তবে নিখোঁজ থাকে অপর ২ জন। এদিকে ট্রলার ডুবির ১ ঘণ্টা পর নিখোঁজ ২ জনের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করে মুন্সীগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ লুৎফর রহমান জানান, বাল্কহেডটি ডুবে গেলে বাল্কহেডে থাকা ৫ জনের মধ্যে ৩ জন উদ্ধার হলেও সুকানি শরিফুল ইসলাম, ও লস্কর নুর ইসলাম নামের দুইজন নিখোঁজ থাকে।

ঘটনার ১ ঘণ্টা পর বাকি ২ জনের সন্ধান পাওয়া গেছে। তারা ট্রলার ডুবির সঙ্গে সঙ্গে সাঁতরে লঞ্চে উঠে ঢাকা চলে যান। তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে, তারা মুন্সীগঞ্জে আসছে বলে খবর পেয়েছি। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে নৌপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের টিম কাজ করে। দুর্ঘটনার পরপরই যাত্রীবাহী লঞ্চটি ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ায় তা আটক করা যায়নি।