তাজিয়া মিছিলের নিরাপত্তা গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়

তাজিয়া মিছিলের নিরাপত্তা গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়

২০১৫ সালে বোমা বিস্ফোরণের পর থেকে আশুরা উপলক্ষে আয়োজিত তাজিয়া মিছিলের নিরাপত্তা গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়। বুধবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর হোসেনি দালান ইমামবাড়ায় পবিত্র আশুরা উদযাপন ও তাজিয়া মিছিল উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, আগামী ২৯ জুলাই (শনিবার) পবিত্র আশুরা। সারাবিশ্বে মুসলিম সম্প্রদায় অত্যন্ত ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পবিত্র আশুরা পালন করে থাকে। মহররম উপলক্ষে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ বিভাগ সর্বদা সচেষ্ট থাকে। আমরা আশা করব আগামী ২৭, ২৮ ও ২৯ জুলাই অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে এই অনুষ্ঠান পালিত হবে। আয়োজকদের প্রতি আমাদের কিছু পরামর্শ তাজিয়া মিছিলে যেন উচ্চস্বরে ঢাক-ঢোল বাজানো না হয়।

গায়ে চাদর ঢেকে কোনো লোক যেন চলাফেরা না করে। শরীরে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করা শিশুদের জন্য দৃষ্টিকটু হয়। তাই এসব বিষয় এড়িয়ে চলবেন। তিনি বলেন, গত সাড়ে ৪০০ বছর ধরে শিয়া সম্প্রদায় এই ইমামবাড়া থেকে তাজিয়া মিছিল ও প্রার্থনাসহ অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে। এবার ২৯ জুলাই মূল অনুষ্ঠানটি পালন করা হবে। প্রতিবারই শান্তিপূর্ণভাবে এই অনুষ্ঠান পালিত হয়। কিন্তু ২০১৫ সালে তাজিয়া মিছিলে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল।

ধর্মীয় উগ্রবাদী ও জঙ্গিরা এ ঘটনা ঘটিয়েছিল। তারপর থেকে এই অনুষ্ঠানের নিরাপত্তাটাকে আমরা বিশেষ গুরুত্ব সহকারে দেখি। পুনরায় কোনো জঙ্গিগোষ্ঠী এ ধরনের দুর্ঘটনা যাতে না ঘটাতে পারে সে দিকটি আমরা দেখছি। আমরা আশা করছি সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত থাকবে।

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, আমরা ইমামবাড়া এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে এসেছি। রাস্তাগুলোও সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। এ এলাকার সামনে ও পেছনে সাদা পোশাক ও পুলিশি পোশাক পরে সদস্যরা নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকবে। পুরো এলাকাটা আমরা ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে সুইপিং করাব। এ ছাড়া মেশিনের সাহায্যে ম্যানুয়াল সুইপিং করাব, যাতে পুনরায় কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password