ঢাকায় নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, কৃষি ভান্ডার ও ইতিহাসে সমৃদ্ধ নওগাঁ। এ জেলার কৃষি পন্যচাষ ও ইতিহাস বিজরিত স্থান ও স্থাপনা দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি। নওগাঁ পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার ও পুলিশ শপিং মল ও রেস্টুরেন্ট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন।

আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় অবস্থিত পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন করেন। এসময় তার সাথে ছিলেন পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের কাস্টোডিয়ান ফজলুল করিম আরজু ও টুরিস্ট পুলিশ নওগাঁর জোন এর ইনচার্জ সাজেদুর রহমান। এর পর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নওগাঁ শহরের বাঙ্গাবাড়িয়ায় অবস্থিত পুলিশ শপিং মল ও রেস্টুরেন্ট পরিদর্শন করেন। সাক্ষাতকারে ইতো নাওকি বলেন, সীমান্তবর্তী একটি জেলা নওগাঁ। এ জেলা ধান, আম, বিভিন্ন জাতের সবজি উৎপাদন হয়ে থাকে প্রচুর পরিমানে যা সত্যিই জেলার কৃষিখাতকে সমৃদ্ধ করেছে।

ইতো নাওকি বলেন, শুধু কৃষি নয় আপনাদের নওগাঁ জেলার অনেক প্রাচীন ঐতিহাসিক স্থান ও স্থাপনা রয়েছে। যা জেলার প্রাচীন ইতিহাসকে জানান দিচ্ছে। এসব প্রাচীন স্থাপনাগুলো হতে পারে আর্কশনীয় পর্যটন কেন্দ্র। পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারে পরিদর্শন বিষয়ে জানতে চাইলে ইতো নাওকি বলেন, সত্যিই কি বিশাল স্থাপনা কারুকাজ পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারে। অনেক প্রাচীন একটি স্থান। বৌদ্ধদের ধর্ম চর্চা কেন্দ্র ছিল এই বিহারটি। আমি ও আমার টিম পুরো বিহারটি ঘুরে ঘুরে দেখলাম। এমন একটি প্রাচীন স্থাপনা দেখতে পেরে খুবই আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত । পর্যটকদের জন্য অনেক চমৎকার করে সাজানো হয়েছে। ইউনেসকো স্বীকৃত এই বিহারটি পরিদর্শন করতে পেরে ধন্য।

পুলিশ শপিং মল ও রেস্টুরেন্ট পরিদর্শন করে অনুভূতি জানতে ইতো নাওকি বলেন, একটি জেলা শহরে এমন মানসম্মত পুলিশ শপিং মল ও রেস্টুরেন্ট নওগাঁর জন্য আনন্দের। কারন এখানে ৭০হাজারের বেশি পন্য আছে। যা এক ছাদের নিচে থেকে একজন ক্রেতা খুব সহজেই কিনতে পারছেন। আর দেশি -বিদেশী নানা জনপ্রিয় খাবার পাওয়া যাচ্ছে রেস্টুরেন্টে। খাবারও আমি নিজেও খাইছি খুবই সুস্বাধু ও মানসম্মত।

এসময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে, এম, এ, মামুন খান চিশতী, গাজিউর রহমান, রকিবুল হাসান ইবনে রহমান, সদর মডেল থানার ওসি নজরুল ইসলাম জুয়েল, জাপান দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারি কোবায়াশী ইয়োশিকি ও থার্ড সেক্রেটারি কোবায়াশী কানাসহ জেলা পুলিশ, ও জাপান দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।