ঢাকা মহানগরসহ বিভিন্ন জেলায় জেলায় চলছে তল্লাশি ও পুলিশ ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের নেতারা। এছাড়া অনেক নেতাকর্মীর বাড়ি বাড়ি পুলিশি অভিযানের অভিযোগও করেছেন স্থানীয় নেতারা।
রাজধানীতে শনিবার বিএনপির মহাসমাবেশ এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর প্রবেশমুখ আমিনবাজার ও সাভার হাইওয়ে থানার সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে যাত্রীবাহী বাস তল্লাশি শুরু করেছে ঢাকা জেলা পুলিশ ও র্যাব।
ঢাকায় ২৮ অক্টোবর ঘিরে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকার প্রবেশমুখসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে করা হচ্ছে তল্লাশি। পুলিশ বলছে, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা। শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সড়কে খুব একটা নেই যানবাহনের চাপ। মানুষের আনাগোনাও অন্যান্য দিনের চেয়ে অনেক কম। তবে সড়কজুড়ে কড়া প্রহরায় নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সকালে ঢাকার আমিনবাজারে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাতে দেখা যায় সাভার থানা পুলিশকে। যাত্রীদের সঙ্গে থাকা ব্যাগ, লাগেজও খুলে চেক করে পুলিশ। যানবাহন থামিয়ে ঢাকায় আসার কারণ জানতে চায় তারা। তল্লাশি থেকে বাদ পড়েনি ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল এমনকি পথচারীরাও।
পুলিশ জানায়, বিভিন্ন গণপরিবহন, ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল এমনকি পথচারীকেও সন্দেহ হলে থামিয়ে চেক করছেন তারা। মহাসড়কে তল্লাশি কার্যক্রম চলমান থাকায় স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা যানজট তৈরি হয়। এই বিড়ম্বনা সত্ত্বেও ইতিবাচক মনোভাবই দেখা গেল চালক ও যাত্রীদের। তারা বলছেন, নিয়মমতোই তল্লাশি করছে পুলিশ। কোনো ভোগান্তিতে ফেলছে না। অতিরিক্ত চাপ দেয়া হচ্ছে না।
আমিনবাজারই নয়, পোস্তগোলা ব্রিজ, বাবুবাজার, নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর, সাইনবোর্ডসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশমুখে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। সেই সঙ্গে আছে র্যাবের নিরাপত্তা বলয়। শনিবার (২৮ অক্টোবর) বড় দুই রাজনৈতিক দলের সমাবেশ ঘিরে রাজাধানীতে নেয়া হয়েছে চোখে পড়ার মতো নিরাপত্তা বলয়।
নাশকতা রোধে ও সাধারণ নাগরিকের জানমালের নিরাপত্তা দিতে সতর্ক অবস্থানের কথা জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রাশেদ বলেন, সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনো মহল বা দুষ্কৃতকারী যেন নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য এই চেকপোস্ট। কোনো বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ে যাতে কেউ ঢাকায় প্রবেশ করতে না পারে, সেটি তদারকি করা হচ্ছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন