সৌদি প্রবাসী নারী শ্রমিকদের বাঁচার আকুতি

সৌদি প্রবাসী নারী শ্রমিকদের বাঁচার আকুতি
MostPlay

ভাগ্য পরিবর্তনে সৌদি আরবে যাওয়া বাংলাদেশি নারীদের প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হওয়ার খবর পাওয়া যায়। বাংলাদেশি নারী শ্রমিকরা কেউ নিজের ভুলে আবার কেউ আর্থিক অনটনে দালালের খপ্পরে পড়ে সৌদি আরব গিয়ে মাসুল দিচ্ছেন।

নির্যাতন-নিপীড়ন সইতে না পেরে সৌদি থেকে গত কয়েক বছরে দেশে ফেরা নারী শ্রমিকের সংখ্যা নেহাতই কম নয়। শারীরিক নির্যাতন তো আছেই। করা হয় যৌন নির্যাতনও। কাজ করিয়ে দেয়া হয় না বেতন।

গত কয়েক বছরে কারো হাত ভাঙ্গা, কারো মাথায় আঘাত আবার কাউকে দেয়া হয়েছে বৈদ্যুতিক শক। শরীরে নির্যাতনের দগদগে ক্ষতের চেয়ে এসব নারীদের মনের ক্ষত যেন আরও বড়। এবার আরও অন্তত ২ শতাধিক নারী সৌদি থেকে বাঁচার আকুতি জানিয়েছেন। সৌদিতে নির্যাতিতা বাংলাদেশি নারী শ্রমিকদের বাঁচার আকুতি।

বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার প্রায় ২ শতাধিক নারী শ্রমিক সৌদি আরবের রিয়াদের জনদরিয়া এলাকার সফর জেলে আটক রয়েছেন। ভুক্তভোগী নারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তারা সেখানে নির্যাতনের শিকার, কাউকে কাউকে সেখান থেকে বিক্রিও করে দেওয়া হচ্ছে অন্যত্র। তাদের খাবার দেওয়া হচ্ছে না। খুব বেশি অসুস্থ হলেও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। বিনা চিকিৎসায় অনেকে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। এর মধ্যে কয়েকজন মারা গেছে।

জানা যায়, মানিকগঞ্জের রেখা বেগম পাসপোর্ট নং-A05819657, কেরানীগঞ্জের সেজু বেগম পাসপোর্ট নং AO6846514, ঢাকার আশুলিয়ার শান্তা আক্তার পাসপোর্ট নং A07632159, ঢাকার মিরপুরের হুসনে আরা পাসপোর্ট নং A00653367, পটুয়াখালীর আকলিমা বেগম পাসপোর্ট নং BY 0681956 এর মতো প্রায় ২ শতাধিক নারী মুক্তির দিন গুনছেন। কবে ফিরবে দেশে! মুক্তি পাবে নির্যাতনের ওই কারাগার থেকে!

ভুক্তভোগীরা আরও জানিয়েছেন, ফিলিপাইন, পাকিস্তান ভারতসহ অনেক দেশের নারীদের দ্রুতই দেশে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে সম্মানের সঙ্গে। কিন্তু বাংলাদেশের নারীদের সঙ্গে দিনের পর দিন অমানুষিক নির্যাতন করে গেলেও এদিকে ততটা তৎপর নয় কূটনৈতিকরা।

অভিযোগ রয়েছে, অনেক সময় দেশে পাঠানোর কথা বলে উলটো নির্যাতনকারী কফিলের হাতেই তুলে দেওয়া হচ্ছে কাউকে। ভিডিও কলে প্রতিবেদককে ভুক্তভোগীর নির্যাতনের কথা বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য কামনা করেন।

তবে সৌদিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র জানায়, এগুলো সফরজেল নয় এটি কিছুটা জেলের মতন হলেও এটি আসলে সৌদি মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি সেফহাউজ নারী গৃহকর্মীরা বিভিন্ন মামলা ও পলাতক হয়ে ওখানে আসে সেখান থেকে সব ক্লিয়ার করে দেশে পাঠানো হয়। তবে আমরা দেখছি বিষয়টি দেখবো।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার কল্যাণ বোর্ডের উপ-সহকারী পরিচালক মালেকা বেগম জানান, আমরা ইমেইলে এই বিষয়ে অভিযোগ পাঠিয়েছি। দ্রুতই আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এদিকে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনেও এদের উদ্ধারের জন্যে আবেদন করা হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password