বড় ভাই সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ষড়যন্ত্রে দল ও পৌরসভার মেয়রের পদ থেকে বহিষ্কৃত হচ্ছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। রবিবার দুপুরে ফেসবুক লাইভে এসে তিনি নিজেই এ কথা জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে দলের ভেতরের নানা কথা বলে আলোচিত ও সমালোচিত হন কাদের মির্জা। পরে ৩১ মার্চ ফেসবুকে দলের সাধারণ সদস্যের পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণাও দিয়েছিলেন তিনি। যদিও পরে তিনি দাবি করেন দলের হাইকমান্ড তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেনি তাই তিনি আবারও দলে ফিরে এসেছেন।

তবে এবার ঘটনাটি অন্যরকম। কাদের মির্জা বলেন, আজ (রবিবার) সকাল ৯টার দিকে নোয়াখালীর একজন ত্যাগী নেতা আমাকে ফোন দিয়ে বলেছেন- নেত্রী (শেখ হাসিনা) আমাকে নাকি বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছেন। আমার বড়ভাই সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নাকি শনিবার আমাকে বহিষ্কারের জন্য নেত্রীকে অনুরোধ করেছেন। এরপর নেত্রী নাকি ওই নির্দেশ দিয়েছেন। তবে আমি খবর নিয়ে জেনেছি ওবায়দুল কাদের নেত্রীকে বলেছেন- তাকে (কাদের মির্জা) দল থেকে সরিয়ে দিতে। ওবায়দুল কাদের আরও বলেছিলেন- আমি এভাবে দল ও সরকারের দায়িত্ব পালন করতে পারব না। ছোটভাই কাদের মির্জা আমাকে অপমান করেছে। তখন নেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- সেটা তোমার পারিবারিক বিষয়, তুমি দেখ।

তারপর এ প্রসঙ্গে কাদের মির্জা আবারও বলেন, এখন শুনছি আমাকে নাকি বহিষ্কার করা হয়েছে। সকালে এসব কথা জানার পর আমি পৌরসভার দাপ্তরিক সকল কাজ শেষ করেছি। নেত্রীর নির্দেশ পেলে দল এবং পৌরসভার পদ থেকে বিদায় নিব। নেত্রী ব্যস্ত মানুষ, তিনি হয়তো সময় পাবেন না তবে সঙ্গে যারা থাকেন তাদের কেউ মেসেজ দিলেও হবে।

তবে তিনি জানিয়েছেন যে, দল থেকে বিদায় নিলেও পৌরসভায় একটি কক্ষে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের অফিসে তিনি বসবেন। বহিষ্কারের পর সেখানে বাধা দিলে বা বসতে না দিলে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে গিয়ে শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের জয়গান গাইবেন।

এছাড়াও কোম্পানীগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদে নিজের ঘোষিত প্রার্থীদের তালিকাও বাতিল ঘোষণা করেন কাদের মির্জা। তিনি বলেন, এ ঘোষণা দিবেন একমাত্র শেখ হাসিনা। তিনি যাদেরকে মনোনয়ন দিবেন তারা যদি যোগ্য হয় তাহলে তাদের পক্ষে কাজ করবেন তিনি।

তবে বহিষ্কার হলেও পৌরসভার পরবর্তী উপনির্বাচনে আবারও দাঁড়িয়ে নিজের জনপ্রিয়তা যাচাই করবেন বলেও জানান মেয়র কাদের মির্জা। যদিও এর আগে স্থানীয় সরকারের আর কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার অঙ্গীকারও করেছিলেন তিনি।