আজ নিপুণের আবেদনের শুনানি হয়নি

আজ নিপুণের আবেদনের শুনানি হয়নি

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনী বোর্ডের সিদ্ধান্ত নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে নিপুণ আক্তারের আবেদনের শুনানি হয়নি। মঙ্গলবার তাঁর আবেদনটি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে উপস্থাপন করা হলে বিচারক ওবায়দুল হাসান তা বুধবার শুনানির জন্য রাখেন। চেম্বার আদালতে আবেদনটি উপস্থাপন করেন আইনজীবী রোকনউদ্দিন মাহমুদ।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমিতির নির্বাচনে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল ও নিপুণ আক্তারকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে নির্বাচনী আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত গত সোমবার স্থগিত করেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে সমিতির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জায়েদ খানের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কোনো রকম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করতেও নির্দেশ দেন আদালত।

সে আদেশ স্থগিত চেয়েই মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন নিপুণ। গত ২৮ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের পরদিন ঘোষিত ফলে সভাপতি পদে ইলিয়াস কাঞ্চনকে এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত ফলে দেখা যায়, নিপুণ আক্তারের চেয়ে ১৩ ভোট বেশি বিএফডিসির সাধারণ সম্পাদক পদে জয় পান জায়েদ খান। নির্বাচনের সময়ই টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ করেছিলেন নিপুণ।

তাতে সাড়া না পেয়ে তিনি আপিল করেন। তাঁর আপিলে ভোটের পুনর্গণনা হওয়ার পর ফল একই থাকে। এরপর নিপুণ সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে ভোট কেনার অভিযোগ তোলেন। পরে নির্বাচনী আপিল বোর্ডে জায়েদ খান ও কার্যকরী পরিষদের সদস্য চুন্নুর পদ বাতিলের আবেদন করেন তিনি। তাঁর আবেদনে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে করণীয় জানতে আবেদন করেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান।

সে আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২ ফেব্রুয়ারি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক চিঠিতে আপিল বোর্ডকেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হলে গত শনিবার দুই পক্ষকে নিয়ে বসার উদ্যোগ নেন সোহান। কিন্তু ২৯ জানুয়ারির পর নির্বাচনী আপিল বোর্ড বিলুপ্ত হয়েছে এবং এ আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার নেই দাবি করে সে বৈঠকে যাননি জায়েদ খান।

সেদিন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারকে জয়ী ঘোষণা করেন। গত ২ ফেব্রুয়ারি সমাজসেবা অধিদপ্তরের চিঠির প্রেক্ষিতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী আপিল বোর্ডের দেওয়া এ সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।

এক সপ্তাহের মধ্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক, উপপরিচালক, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমিতির সোহানুর রহমান সোহান, মোহাম্মদ হোসেন, নিপুণ আক্তার ও মোহাম্মদ হোসেন জেমিকে এক সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি রুল শুনানির তারিখ রয়েছে উচ্চ আদালতে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password