রং নম্বরে প্রেম ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে অতঃপর..

রং নম্বরে প্রেম ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে অতঃপর..
MostPlay

রং নম্বরে ফোনে পরিচয়। দিনে দিনে মোবাইলে কথা। দুজনের মধ্যে চেনাজানার পর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায় ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে। অতঃপর যুবতীর সর্বস্ব হাতিয়ে নিয়ে গাঢাকা দিয়েছে বিজয় ঘরামির নামে এক যুবক। প্রতারিত যুবতী রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবে এসে অভিযোগ করে বলেন, বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের সমাধিনগর গ্রামের বিরাট ঘরামির ছেলে বিজয় ঘরামির সঙ্গে মোবাইল ফোনের রং নম্বরে পরিচয় হয়।

পরিচয়ের পর একপর্যায়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে বিয়ে করতে চাইলে সে ঢাকা প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট থেকে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে ২০২০ সালের ১৩ অক্টোবর ( রেজি নং-০২) মাগুরা সদর উপজেলার পিটিআইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা উল্লেখ করে ইসলামধর্ম গ্রহণ করে মো. বশির খান নাম ধারণ করে। পরে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন ৩৬ নং ওয়ার্ড মুসলিম বিবাহ তালাক রেজিষ্ট্রার ও কাজীর নিকট থেকে ২০২০ সালের ১ নভেম্বর ২লক্ষ টাকা কাবিনমুলে বিবাহ করে।

বিয়ের কিছুদিন ভালোভাবে সংসার করলেও আমার নিকট থেকে পালিয়ে তার মা সলতা রানী ঘরামির মাগুরার বাসায় উঠে ও আমার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে। আমি খোঁজ নিয়ে মাগুরা এসে অনেক কষ্টে তার ঠিকানা যোগাড় করার পর আমার সঙ্গে আবারও ঢাকায় যায় এবং ২০২১ সালের ২ জুন ঢাকা কোতয়ালীর ১৪নং কোর্ট হাউজ স্ট্রীটের মুসলিম বিবাহ রেজিষ্ট্রার ও কাজী মো. সাদেক উল্লাহ ভুঁইয়ার নিকট থেকে পুনরায় ৫লক্ষ টাকা কাবিনে বিয়ে হয়।

বিয়ের পর বেশ কিছুদিন ভালোভাবে সংসার করে বিশ্বাস স্থাপন করে টাকা পয়সা হাতিয়ে পালিয়েছে। এখন ফোন করলে ফোন ধরে গালিগালাজ করে। আমাকে চেনে না বলেও হুমকি ধমকি দিয়েছে। সোমবার বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের সমাধিনগর বিজয় ঘরামির নানার নিকট গেলে তিনি বিজয়ের নিকট নিয়ে যাবে বলেও সারারাত বসিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। আমি নিরুপায় হয়ে পথে পথে ঘুরছি। এবিষয়ে বিজয় ঘরামির মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বিজয় বলেন তাকে বিয়ের নামে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password