আন্দোলনরত রনির পাশে ডা. জাফরুল্লাহ

আন্দোলনরত রনির পাশে ডা. জাফরুল্লাহ
MostPlay

বাংলাদেশ রেলওয়ের ‘অনিয়ম ও দুর্নীতির’ বিরুদ্ধে আন্দোলনরত ঢাবি শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনির আন্দোলনে সমর্থন জানাতে কমলাপুর রেলস্টেশনে গেছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। রোববার (২৪ জুলাই) বিকেল পাঁচটার দিকে কমলাপুর রেলস্টেশনে পৌঁছান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। রোববার বিকেলে কমলাপুর স্টেশনে রেল বিভাগের অনিয়মের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত মহিউদ্দিন রনিকে নিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজারের সাথে দেখা করতে হুইল চেয়ারে বসে যেতে চাইলে তাকে বাধা দেয়া হয়।

পরে বন্ধ করে দেয়া হয় প্রবেশপথ। এ ঘটনার পর ভেতরে প্রবেশ করতে না দেয়া পর্যন্ত স্টেশনের বাইরে অবস্থান নিয়ে থাকার ঘোষণা দেন ডা. জাফরুল্লাহ। এরপর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে মূল ফটকে মহিউদ্দিন রনির অবস্থন কর্মসূচিতে উপস্থিত হন তিনি। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মহিউদ্দিন রনির ৬ দফা দাবি ‘বাংলাদেশ রেলের অব্যবস্থাপনার পরিবর্তন‘ যে লড়াই করে যাচ্ছেন তার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাতে রোববার বিকেল ৫টায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত হন।

জানা গেছে, রাত ৯টায় মূল ফটকে মহিউদ্দিন রনিসহ কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার ও স্টেশন মাস্টারের সাথে সাক্ষাৎ না হওয়া পর্যন্ত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সেখানেই অপেক্ষা করবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু। সন্ধ্যার পর স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন একবার এসে রনির ৬ দফা দাবির বিষয়ে উপরের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলবেন বলে ৫ জনের নামের লিস্ট নিয়ে গেছেন।

এর ৩০ মিনিট পর ফিরে এসে তিনি জানান শুধু ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীই ভেতরে যেতে পারবেন। স্টেশন মাস্টারের বক্তব্য শুনার পর ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, রেলের অব্যবস্থাপনা পরিবর্তনের জন্য যে আন্দোলন শুরু হয়েছে তার নেতা মহিউদ্দিন রনি ব্যতিত ভেতরে ম্যানেজার ও রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমি দেখা করতে যাবো না। রাত ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ডা. জাফরুল্লাহ গেটের বাইরে রনিসহ অবস্থান করছেন।

এর আগে, বিকেলে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমরা আজ আন্দোলন করার জন্য আসিনি, আমরা চাচ্ছি একটি ব্যবস্থাপনা উন্নতির জন্য। দুর্নীতির অপসারণ চাই, জনগণের জন্য সুযোগ-সুবিধা চাই। প্রবেশের অনুমতি না দেয়া পর্যন্ত এখানেই অবস্থান নিয়ে থাকবো। তিনি আরও বলেন, স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ ও রেল কর্তৃপক্ষ যদি রনির ছয় দফা দাবি মেনে নেয়, তাহলে আমি রনিকে অনুরোধ করবো আন্দোলন স্থগিত করে পড়াশোনায় ফিরে যেতে।

এদিকে, রোববার বিকেল ৪টার দিকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে আসেন রনিসহ অন্য শিক্ষার্থীরা। তবে তারা ভেতরে ঢুকতে পারেননি। সব ফটকের সামনে অবস্থান নেন রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। এ সময় সব ফটক বন্ধ করে দেন তারা। তবে টিকিট দেখিয়ে সাধারণ যাত্রীদের স্টেশনের ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছিলো। এ বিষয়ে আন্দোলনকারী মহিউদ্দিন রনি বলেন, আমাকে ঢুকতে দেয়নি ভাল কথা। কিন্তু দেশের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে আটকে দিল কেনো তারা?

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password